মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজান। আর এ পবিত্র রজমানেরশুরুতে জেলার সকল বাজার গুলোতে বাড়ছে কাঁচামালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম। বিশেষ করে যেসব জিনিসপত্র রমজান মাসে বেশি প্রয়োজন হয় সেগুলোর দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন কিছু ব্যবসায়ী। গত কয়েক দিনে চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার, নতুন বাজার, পাল বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায় ১মাস কিংবা ১৫ দিনের ব্যবদানে নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। এরমধ্যে রয়েছে চাল, চিনি, খেসারি ডাল, ছোলা বুট, সয়াবিন তৈল, ভেসন, অদা, রসুন, পেয়াজ, জিরা, এলাচ, ইসুবগুল, আলু, গাঁজর, টমেটো, কালো বেগুনসহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম কেজিতে ১০থেকে ২০ টাকা বাড়িয়ে আগের তুলনায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। অতি মুনাফা পাওয়ার আশায় কিছু কিছু ব্যবসায়ী নিজেদের খামখেয়ালী মতোই জিনিসপত্রে দাম বাড়িয়ে ব্যবসা করছেন। আর এসব ব্যবসায়ীরা ঈদ অথবা রমজান মাস এবং যে কোন মানুষের কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান আসলেই এসব নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেন। ২০ মে বুধবার চাঁদপুর শহরের কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ১৫ দিন আগেও যেখানে চিনি বিক্রি হতো ৬৪ টাকা কেজি এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকায়। ছোলা বুট আগে বিক্রি হতো ৭৬ টাকা বর্তমানে ৮৫ থেকে ৮৬ টাকা, জিরা আগে বিক্রি হতো কেজি ৩শ ৪০ টাকা বর্তমানে তার বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩শ ৮০ টাকা। এলাচের কেজি আগে ছিলো ১৩’শ টাকা এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১৩শ ৫০ টাকা। ইসুবগুল ক’দিন আগেও যেখানে প্রতি কেজির দাম ছিলো ৮শ ৪০ টাকা, রমজানকে সামনে রেখে তার দাম বাড়িয়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৯শ ২০ টাকা কেজি। খেসারির ডাল আগে বিক্রি হতো ৭০ টাকা বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজি। এছাড়াও বাজার ঘুরে দেখাযায় কাঁচামালের দাম আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। তার মধ্যে টমেটো, কাঁচা মরিচ, পটল, কাকরল, গাঁজর, বেগুন, বটবটি, বেন্ডিসহ বিভিন্ন কাঁচামালের দাম প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। এদিকে চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার ও নতুন বাজার ঘুরে চালের পাইকারি ও খুচরা বিক্রির অনেকটা ব্যবধান পাওয়া যায়। বাজার গুলো ঘুরে জানা যায়, গত কয়েকদিন আগেও যেখানে জিরা চাল পাইকারি বিক্রি হতো প্রতিকেজি ৫২ টাকা সেখানে বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে কেজি ৫৫ টাকায়। গুটি চাল যেখানে বিক্রি হতো ৩৯ টাকা কেজি এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা। কিন্তু পাল বাজারে ঘুরে কয়েকটি দোকানে গিয়ে চালের দামের বিক্রির ব্যবদানের কথা জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক’জন ব্যবসায়ী জানান, ‘পুরাণ বাজারের চালের আড়ৎ ব্যবসায়ীরাই আমাদের থেকে দাম বেশি রাখছেন।’ কিন্তু পুরাণ বাজার চালের আড়ৎ ব্যবসায়ীরা বলছেন ভিন্ন কথা, কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন মেইল মালিকরাই এসব চালের দাম বাড়িয়েছেন। তারা কোন কারনে চালের দাম বেশি রাখছেন তা শুধু তারাই জানেন। এদিকে রমজানকে সামনে রেখে কিছু কিছু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ানোর কারনে অনেককে ােভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। পবিত্র মাহে রমজানে যেনো রোজাদাররা সাধ্যের মতো জিনিসপত্র ক্রয় করে ঠিকমতো রোজা রাখতে পারেন সেজন্য বাজার স্থিতিশীল রাখতে রমজানে বাজার মনিটরিং করতে প্রশাসনের হস্তপে প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল।