নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
হাজীগঞ্জ উপজেলার ৫নং সদর ইউনিয়নের ফেমিলি প্লানিং এর পরিবার পরিকল্পনার ভিজিটর নারগিসের খুঁটির জোর কোথায়। দীর্ঘ ১৮ বছর ৭ মাস ১০ দিন একই উপজেলায় কর্মরত। তর্থের বিবরণে বের হয়ে আসে ভিজিটর নারগিসের গ্রামের বাড়ি শাহ্রাস্তি উপজেলায়, স্বামীর বাড়ি কুমিল্লা জেলায়। বাবার বাড়ি স্বামীর বাড়ি কোনটাই হাজীগঞ্জে নয়? তা’হলে তিনি দীর্ঘ প্রায় ১৯ বছর হাজীগঞ্জ উপজেলার ৫নং সদর ইউনিয়ন ও পৌর সভায় কাটাচ্ছেন কেন। কি গোমর রয়েছে এখানে? ১৯৯৬ইং তারিখে এই উপজেলায় কর্মজীবন শুরু করেন। দীর্ঘ ১৮ বছর ৭ মাস ১০দিন একই উপজেলার দুই জায়গায় কর্মরত থাকার কারণে তার দাফটে এলাকার মানুষ জিম্মি হয়ে আছে।
গত কয়েক মাস পূর্বে তার সর্বশেষ দাফট দেখায় ইউপি চেয়ারম্যান এর সাথে। ওই বিষয় গুলো অনুসন্ধান করতে গেলে বেরিয়ে আসে বিভিন্ন অসামাজিক আরো কিছু কার্যকলাপের তথ্য। যেমন তিনি কারো চরিত্র নিয়ে কথা বলতে কখনই দীর্ঘ ১৮ বছরে তোয়াক্কা করেননি। যেমন ৫নং সদর ইউনিয়নের দুর্ধর্ষ চুরি, কয় মাস পর আবারো তালা ভাঙ্গা, তথ্য সেবা নিতে আসা মহিলাদের সাথে খারাপ আচরণ করা, ইউনিয়ন অফিসের ভাতরুম করা, ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য নারগিস ভিজিটর এর কাছে ফেমিলি প্লানিং এর ভবনের বারান্দা ব্যবহার করা নিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় জর্ঝরিত।
এ পরিবার পরিকল্পনা অফিসের অন্যান্য ভিজিটরদের আসার পরে ২/৩ মাস থাকার পর চলে যেতে হয়। তার এমননি অশোভনীয় আছরন ফুটে উঠে বিভিন্ন ভিজিটরদের সাথে। তার কারণে কোন ভিজিটর এসে বেশি দিন টিকেনা এখানে। সর্বশেষ বর্তমানে একজন ভিজিটর ঘাত প্রতিঘাত সহজ্য করে তার সাথে চাকুরি করে যাচ্ছেন। বিশেষ অনুরোধে তার নাম প্রকাশ করা হয়নি। ওই ভিজিটর জানায়, কোয়াটারের প্লাটে উঠার জন্য প্রস্তুত করলে তার অসৎ আচরণের কারণে থাকা সম্ভব হয়নি। তিনি বর্তমানে চাঁদপুর থেকে দৈনন্দিন এসে এখানে অফিস করে। দুটি কোয়াটার থাকা সত্ত্বেও তিনি থাকতে পারছেন না। একটিতে নারগিস ভোগ দখল করে আছে। আরেকটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় পেলে রেখেছে।
নারগিসের বিষয়ে সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মামুনুর রহমান মজুমদার বলেন, তিনি কি চান। আদো এলাকাবাসী জানেন না। যেমন এলাকাবাসীর সাথে খারাপ ব্যবহার করে। তেমনি আমার সাথেও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি একই আচরণ করেন। তাকে কিছু বলতে না বলতেই উঠে পড়ে লাগেন। মানুষের চরিত্র সমন্ধে কথা বলতে কোন দিধাদ্বন্দ্ব করেন না। এটা তার বড় গুন হয়ে দাড়িয়েছে। তিনি আরো বলেন, তার চরিত্র ছাড়া সবার চরিত্র নাকি খারাপ। এক বাক্যে তিনি সব সময় সবাইকে কোন প্রতিবাদ করলে চরিত্রের কথা বলে হুমকি দিয়ে যায়। দৈনন্দিন গ্রাম থেকে আসা রোগীদের সাথে করেন অসৎ আচরণ। ঠিকমত চিকিৎসা না দিয়ে নিজের কোয়াটারে খাম খেয়ালি করে শুয়ে, বসে দিন কাটান।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে বার বার দেওয়া সত্ত্বেও কোন সাক্ষাৎকার নেয়া সম্ভব হয়নি। নারগিসের সাথে এ বিষয় গুলো নিয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি সংবাদ কর্মীর কথা এড়িয়ে যান এবং এক পর্যায় তার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা ছাড়া কিছু বলতে পারবেন না বলে সংবাদকর্মীকে বলেন।
এই নাম্বারটি ডাঃ মইনুল ইসলাম(মেডিকেল অফিসার) ০১৮১৪-৭৩৩১৭৯।
এই নাম্বারটি হলো উপজেলা ফেমিলি প্লানিং এর অফিসার গোলাম মোস্তফা, ০১৮১৫-৫৮০৬১৪।
প্রয়োজনে এ নাম্বার ২টিতে যোগযোগ করতে পারলে আরো কিছু তথ্য পাওয়া যেতে পারে।