স্টাফ রিপোর্টার ঃ
ফরিদগঞ্জে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মাঝে বেশ কিছুদিন যাবৎ মামলা, বহিষ্কার ও পদ হারানোর ভীতি কাজ করছে। ইতিমধ্যে ছাত্রলীগের হঠাৎ করে নতুন কমিটি নিয়ে আগের কমিটির নেতা-কর্মীদের সাথে বিরোধ, বিবৃতি পাল্টা বিবৃতি, মারামারি এমনকি গ্রেপ্তার এবং মুক্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ যা রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।
বিশেষ কোন কারন না দেখিয়ে জেলা বা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশ ছাড়াই একটি নির্বাচিত কমিটি থাকা সত্বেও ২১ আগস্ট শোকের দিন অন্য একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ফরিদগঞ্জের আওয়ামীলীগের অন্তঃকোন্দল পাল্টাপাল্টি মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে।
গত ২৬ নভেম্বর বুধবার স্থানীয় সাংসদসহ উপজেলা চেয়ারম্যান ও দলের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় আরো অনেক নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে মারামারী হয়, এক পর্যায়ে দলীয় এমপি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়াকে বেশ কিছুক্ষণ অবরুদ্ধ করে রাখে ছাত্রলীগের বিক্ষুদ্ধ নেতা-কর্মীরা।
ঘটনায় আটক করা হয় পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রিপন ও যুবলীগ কর্মী স্বপনকে। তাদের মুক্তির দাবিতে চাঁদপুর-রায়পুর সড়কের ভাটিয়ালপুর এলাকায় গাছকেটে রাস্তা অবরোধ করা হয়েছিল। শ’ শ’ ভারী যানবাহন আটকা পড়েছিল দু’পাশে। সে ঘটনায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বাদী হয়ে ১৫জনকে আসামী করে একটি, এমপি ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান সোহাগের পিতা মোস্তফা কামাল মিজি বাদী হয়ে ১৩জনকে আসামী করে অন্য একটি মামলা করা হয়। দু’টি মামলাতেই আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের আসামী করা হয়েছে। যদিও দৈনিক চাঁদপুর কন্ঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল খায়ের পাটওয়ারীর উদৃতি দিয়ে বলা হয়েছিল এ ঘটনার জন্য জামাত শিবির দায়ী।
গত ১ ডিসেম্বর রবিরার চাঁদপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে জেলা ছাত্রলীগের সদস্য পাবেল হোসেন বাদী হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল খায়ের পাটওয়ারী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অহিদুর রহমান রানা, আলমগীর হোসেন স্বপনসহ ৮জনকে আসামী করে একটি মামলা করা হয়। একই দিন পৌঁর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ আলম বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামী করে আরো একটি মামলা করা হয়। মামলায় সভাপতি আবুল খায়ের পাওয়ারী ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অহিদুর রহমান রানা আরজিতে উল্লেখিত অন্যান্য আসামীদের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে চাঁদা আদায় এবং নেশা জাতীয় দ্রব্যাদি বিক্রয়ে সহযোগিতা করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিগত ২৭ নভেম্বর রাত একুশে টিভি’র ক্রাইম রিপোর্ট “একুশের চোখ” অনুষ্ঠানে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অহিদুর রহমান রানা’র কুকীর্তির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।