মোঃ জাবেদ হোসেন॥
আমি ডাঃ মোঃ বেলায়েত হোসেন (আরএমও) চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের কর্মরত আছি। টানা ৩৪ দিনের অবরোধ হরতালে বলতে চাই বর্তমানে যে হারে অরাজকতা সৃষ্টি হচ্ছে তা নিয়ে সাধারণ মানুষ রাস্তায় বের হতে হলে প্রতিটি মানুষ মৃত্যুর কথা না ভেবে ঝুকির সাথে কর্মস্থলে গিয়েও তাদের ইচ্ছামতো আয় করতে পারছেনা। আমাদের দেশে যেই হানাহানির সৃষ্টি হয় তা অন্য কোনো দেশে দেখা দেখেনি। নিজেদের মধ্যে বিবেদ রেখে সাধারণ মানুষের হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে। বিএনপির কর্মীরা যে গুপ্ত হামলা ও ঘুমন্ত মানুষের উপর পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করছে তা মোটেও মানুষের কাজ না। একজন মানব জাতি হয়ে আরেক জন মানব জাতীয়কে কিভাবে তারা ঘুমন্ত অবস্থায় পেক্টোল বোমা নিক্ষেপ করে মারে। এখন বর্তমানে আমি নিজেই অনেক পেক্টোল বোমায় আহত রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আমি নিজেই দুঃখ প্রকাশ করি। আমি চাই যে বাংলাদেশ স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠোক। দুই নেন্ত্রীর মধ্যে যে হানাহানির সৃষ্টি হয়েছে তা সুষ্ঠু সমাধানে আসলে সাধারণ মানুষ ঠিক মতো দু মুঠো ভাত খেতে পারবে।
আমি মোঃ এ্যাডঃ হেলাল জেলা গণফোরামে সভাপতি । টানা অবরোধে ও হরতাল নিয়ে বলতে চাই। যেই হারে ২০ দলীয় ও ১৪ দলীয় জোটের সমজোতায় না আসার কারনে সাধারণ মানুষকে করতে হয় বিপাকে। প্রতিটি মানুষই সকালে ঘর থেকে বের হয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে কর্মস্থলে যায়। আর কত দিন এভাবে চলবে অবরোধ, কর্মসূচী ও হরতাল। যে হারে হরতাল কর্মীরা সাধারন মানুষের উপর পেট্রোল বোমা ও বাসে আগুন সহ বিভিন্ন অত্যাচারের সম্মুখীন হয়। এতে করে আপাম জনসাধারণ নানাহ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। যার ফলে দেশে খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা ও শিক্ষা খাতে চরম বিঘœ ঘটে। এভাবে চলতে থাকলে দেশে অচল হয়ে যাবে। দেশকে বাঁচাতে দ্রুুত দু নেন্ত্রীকে সমাধানে আসুক।
আমি লোড ব্যবসায়ী সবজু আঁখন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট নিয়ে বলতে চাই। এদেশ স্বাধীন দেশ। আমরা যেন স্বাধীনভাবে চলতে পারি। সে জন্য মুক্তিযোদ্ধারা দেশকে স্বাধীন করছে। স্বাধীনের ৪৪ বছর পরও আমরা শান্তিতে বসবাস করতে পারছি না। দেশের অরাজগতার কারণে। কেউ ক্ষমতা ছাড়ছে না আবার কেউ ক্ষমতায় আসার জন্য টানা অবরোধ ও হরতাল দিয়ে যে হারে ঘুমন্ত গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পুঁড়ছে, পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করছে। তাতে মানুষ চরম আতংকে ভুগছে। বর্তমানে ব্যবসায়ের পরিস্থিতি খুবই খাপার অবস্থানে চলে যাচেছ। যদি দুই নেন্ত্রী সমজোতায় না আসে তাহলে আমাদের পথে বসতে হবে।
আমি এশিয়া লাইন বাস চালক মোঃ নুরুল ইসলাম। বর্তমান হরতাল ও অবরোধের এহেন অবস্থায় বলতে চাই। হরতাল ও অবরোধের ফলে দীর্ঘ ১ মাস গাড়ি বন্ধ থাকায় আমাদের পরিবারসহ সকলকে সংসার চালাতে খুবই হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই পরিবারের সকলকে বাঁচাতে জীবনের ঝুকি নিয়ে গত ১ সপ্তাহ ধরে গাড়ি নিয়ে রাস্তা বের হয়েছি। প্রতিটি মুহুর্তে মনে হয় যেন মরণের ডাক এসে পড়ে। আমি চাই যে এই সমস্যা যেন দ্রুত সমাধান হয়।
আমি সিএনজি চালক মোঃ আব্দুল আজিজ। যেই হারে অবরোধ ও হরতাল চলছে। মনে হয় আমরা আর বেশি বাঁচতে পারবো না। অবরোধ চলাকালে পরিবারের খাবার যোগাতে জীবনের ঝুকি নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। জানিনা কখন যে মুত্যুর মুখে ঢলে পড়তে হয়। অবরোধ না থাকার সময় গাড়ি চালিয়ে সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতেছিলাম। অবরোধ দেওয়ার পরই খুবই কষ্টে জীবন কাটাতে হচ্ছে।
আমি অটো চালক মোঃ সাকিল (১২)। অবরোধের কারণে আমাদের পরিবারে অভাব দেখা দিয়েছে। আমাদের পরিবারে রোজগার করার মতো আমি ছাড়া আর কেউ নেই। তাই জীবনের ঝুকি নিয়ে পরিবারের সকলের জন্য খাবার জোগাতে রাস্তা গাড়ি চালাতে হচ্ছে। অবরোধ ও হরতাল এভাবেই চলতে থাকলে আমরা না খেয়ে মরে যাব।
আমি রিক্সা চালক ইউনুস বেপারী। গোড়ামারা আশ্রয়ন প্রকল্পে থাকি। আমার পরিবারে দুই ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে বসবাস করি। কোন রকমে রিক্সা চালিয়ে ছেলে মেয়ের লেখা পড়া ও খাবার জোগাতে হয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থির কারণে আমার দৈনিক আয় কমে যায়। তবুও পরিবারকে বাঁচাতে জীবনের ঝুকি নিয়ে একমাত্র উপার্জনকারী রিক্সা নিয়ে বের হই। তবে কখন যে পেট্রোল বোমা ও হামলা হয়ে জ্¦ালীয় দেয় । এ ভয়ে বুক মাঝে মাঝে আতঙ্গে উঠে। এই অবরোধ ও হরতাল যদি বন্ধ না হয় তাহলে আমরা না খেয়ে মরতে হবে।
আমি পথচারী দিলীপ দাস, ঘোষপাড়ার বাসিন্দা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে যে হারে মানুষ চলাচল ও কর্মস্থলে জীবনের ঝুকি নিয়ে খাদ্য যোগাতে যেতে হয়। কিন্তু যাওয়ার পরও তাদের হতে হয় পেট্রোল বোমা বা পিকেটিংকারীদের হামলাল শিকার। এই নিয়ে সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়তে হয়। আমরা চাই এ সমস্যা দ্রুত সুষ্ঠু সমাধানে আসুক।