ষ্টাফ রিপোর্টার ॥ চাঁদপুরের বড় ষ্টেশন মাদ্রাসা রোডে লঞ্চঘাটে অবস্থিত বাংলাদেশ পুলিশের নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। রাতের আধাঁরে চোরকারবারীরা নদীতে বিভিন্ন ধরনের চোরাই মালামাল আনা-নেয়া করত,এই ফাঁড়িটি হওয়াতে জনমনে সস্তি এলেও অসাদু অফিসারদের কারণে এই ফাঁড়িটির দূর্নাম ছড়ায়। বর্তমানে নৌ-পুলিশ ফাঁড়িটি পরিনিত হয় মেরিন নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি হিসেবে। যদিও তাদের কাজ নদীতে নৌজান সুস্থ্য চলাচলের ব্যবস্থা করা কিন্তু আধৌ নদীতে সুষ্ঠুভাবে কোন নৌজান চলতে পারছেনা কারণ একটাই অসাদু নৌ-পুলিশ অফিসার মনির আহম্মেদ ও তাঁর সহযোগি ওই এলাকার খ্যাতিমান দালাল জহিরের মাধ্যমে এসব কর্মকান্ড অব্যাহত রাখছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মনির আহম্মেদ । পূর্বে সে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জে মেট্টো পলিটন পুলিশের এএসআই পদে কর্মরত ছিল। সেখানেও সে দূর্নীতি ও অপরাধীদের সাথে জড়িত আছে বলে জানা গেছে। সেখান থেকে পদোন্নতি পেয়ে চাঁদপুর জেলা শহরের বড় ষ্টেশন মাদ্রাসা রোডের লঞ্চঘাট এলাকায় মেরিন নৌ-পুলিশের এসআই পদে (৯ সেপ্টেম্বর/১৪ইং) যোগদান করেন। এ ফাঁড়িতে যোগদানের পর পরই তিনি তাঁর দূর্নীতির নতুন একটি পেজ খোলেন। আর সেই পেজেই শুরু তাঁর দূর্নীতির লিখন যেমন, কানদী মিয়ার বাজারে চোরাকারবারীদের কাছ থেকে প্রতি মাসের ৫ তারিখে বিষ্ণপুর ইউনিয়ন বর্তমান মেম্বার আলমগীরের কাছ থেকে মাসহারা হিসেবে ৬০ হাজার টাকা, মুন্সিগঞ্জে কারেন্ট জালের ফ্যাক্টরী থেকে প্রতি মাসে জহিরের মাধ্যমে ২ থেকে ৩ তারিখের মধ্যে ৭০ হাজার টাকা, কানদী, আমিরাবাদ, লালপুর, আনন্দবার,রাজরাজেশ্বর, টিলাবাড়ি ঠোডার মাথা, বাংলা বাজার, হরিনাসহ এসব এলাকার মোট ২৫শ’ নৌকার মালিক জেলেদের কাছ থেকে নৌকা প্রতি ৩ হাজার টাকা করে জহিরের মাধ্যমে উত্তোলন করে। চোরাকারবারী সেলিম গ্র“পের কাছ থেকে প্রতিমাসে ৩০ হাজার টাকা করে জহিরের মাধ্যমে, আইনল গ্র“পের কাছ থেকে ২৫-৩০ হাজার টাকা, শাহআলম গ্র“পের কাছ থেকে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা ও নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সামনে মিনি বে¬কার খেয়া পারাপারের নাম দিয়ে প্রতি দিন ৫শ’ টাকা উত্তোলন করেন প্রকাশ্যে জহিরের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতি মাসে। তাঁর সহযোগি জহির ছোট থেকেই ফাঁড়িটিতে কিভাবে একজন পাবলিক হিসেবে পুলিশের সাথে কাজ করে যাচ্ছে তা সচেতন মহলের প্রশ্ন?। প্রতিনিয়ত চেকিংয়ের মাধ্যমে লঞ্চঘাটে যাত্রীদের কাছ থেকে যেসকল মাদক উদ্ধার হয় তা আবার গোপনে বিক্রি করে দেয় জহিরের মাধ্যমে ক্লাব রোড়ে,নদীতে বালির লোডিং ৪ টি ডেজ্রারের কাছ থেকে প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা। আরো জানা যায়, গত (২৯ ডিসেম্বর/১৪ইং) তারিখে রাতের বেলা লঞ্চের ভিতরে অভিযান চালিয়ে কয়েক মণ জাটকা মাছ আটক করে বিক্রি দেয় ৩ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা ও (৪ জানুয়ারি/১৫ইং) একই ঘটনা ঘটে রাতের আধাঁর কয়েক মণ জাটকা মাছ আটক করে তা বিক্রি করে ফেলে জহিরের মাধ্যমে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এমন ঘটনা ঘটতে থাকলে পুলিশ প্রশাসনের ওপর সাধারণ মানুষের পুরোপুরি আস্থা বিলিন হয়ে যাবে।