ফরিদগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
ফরিদগঞ্জ ব্যুরো
ফরিদগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে নাসরিন আক্তার নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ করেছে তার পরিবার। বুধবার রাতে নাসরিনের মামা মনির হোসেন পরিবাবারের প থেকে বাদী হয়ে থানায় এ অভিযোগ করেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সাহেবগঞ্জ গ্রামে।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ২৭ মার্চ নাসরিন আক্তারকে তার স্বামী হান্নান মিজিসহ পরিবারের সদস্যরা যৌতুকের দাবিতে বেদম মারধর করে। এক পর্যায়ে তারা তার মুখে বিষ ঢেলে দেয়। এরপর অবস্থা বেগতিক দেখে তারা নাসরিনকে প্রথমে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ে নিয়ে আসে। কর্মরত চিকিৎসক তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে বেলা দেড়টার দিকে মুত্যু হয় নাসরিনের। এ সময় নাসরিনের লাশ হাসপাতালে ফেলে চলে যায় তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। পরে পুলিশ এসে নাসরিনের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। মৃত নাসরিনের মরদেহের ময়না তদন্ত শেষে স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহায়তায় স্বামীর বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত হান্নান মিজিসহ তার পরিবারের লোকজন। মনির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ২০০৮ সালে সাহেবগঞ্জ গ্রামের মনু মিয়া মিজির ছেলে হান্নান মিজির সাথে বিয়ে হয় নাসরিনের। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে নাসরিনকে মারধর করতো তারা। যে কারণে দুই দফা তাদেরকে ২ লাখ টাকা যৌতুক দেয়া হয়। সম্প্রতি আবারো হান্নান মিজি বিদেশ যাওয়ার নাম করে নাসরিনের কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। কিন্তু যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তারা আমার ভাগ্নের উপর নির্যাতন করে তাকে হত্যা করে। মৃত নাসরিন আক্তারের ২ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তার বাবা নূর মোহাম্মদ গ্রামের দরিদ্র কৃষক।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ আলম বলেন, আমার অভিযোগটি গুরুত্বের সাথে নিয়েছি। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন আসার পর এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।