মানিক দাস, চাঁদপুর ॥
চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে অগ্নি কান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ও বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অগ্নি সংযোগ করেছে অজ্ঞাত একটি নাশকতাকারী চক্র। এ ঘটনায় জেলা আওয়ামীলীগ ও অংগ সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা সকালের প্রথম প্রহরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত হয়ে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জানাযায়, প্রতিদিনের ন্যয় আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম শেষে বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টায় দলীয় কার্যালয় বন্ধ করে সকলে নিজ নিজ বাড়ীতে চলে যায়। পরের দিন বৃহস্পতিবার ভোরে মরহুম আব্দুল করিম পাটওয়ারী সড়কে দলীয় কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনাল ঘাটের চারু নামের এক লঞ্চ সুপারভাইজার আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পান। তাৎক্ষনিক তিনি জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলালকে মোবইলে বিষয়টি অবগত করেন। দুলাল পাটওয়ারী সহ আওয়ামীলীগ ও অংগ সহযোগী সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দ দলীয় কার্যালয়ে ছুটে আসেন । আগুণ লাগানোর বিষয়টি জানার পর চাঁদপুর উত্তর ফায়ার ষ্টেশনকে খবর দেওয়া হলে দমকল বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তারা মেশিনের সাহায্যে পানি নিক্ষেপ করে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। পাশাপাশি ভয়াবহ অগ্নি কান্ডের হাত থেকে পুরো এলাকাটিকে রক্ষা করা হয়। জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে অগ্নি কান্ডের বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ সুপার মোঃ আমির জাফর ও চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাইয়ুম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ অগ্নি কান্ডের ঘটনায় তাৎক্ষনিক তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আবু নইম দুলাল পাটওয়ারী বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপি জামায়াত চক্র গাড়ী ভাংচুর করছে, সাধারণ যাত্রীদের উপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে পুড়িয়ে মারছে সেই স্বাধিনতা বিরোধী চক্রই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। কারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করছে প্রশাসন ভালো করেই জানেন। তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হলে এ অগ্নি কান্ডের নাশকতার ঘটনা বের হয়ে আসবে। পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, এখন দেশে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি মাথা নাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা এ দেশের মানুষের উপর চোরা-গুপ্তা হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা করছে। তারা কি এদেশের নাগরিক নয়। তাহলে তারা কেন সারা দেশে এ ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে। সন্ত্রাসী জঙ্গিবাদ গোষ্ঠি ছাড়া এ ধরনের আগুনে পোড়ানার কাজ অন্য কেউ করতে পারেনা। সন্ত্রাসী আর জঙ্গিবাদদের কোন রাজনৈতিক দল নেই। এরা ৭১-এ দেশের স্বাধীনতাকে বিরোধিতা করে ভুমিকার পালন করেছিলো। সেই জামায়াত শিবির জঙ্গিবাদ চক্র বিএনপির সন্ত্রাসিরা জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে এ পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে অগ্নি কান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রশাসন এদেরকে চিনে।আইনের মাধ্যমে তাদের বিচার করা হবে। জেলা যুবলীগের আহবায়ক মিজানুর রহমান ভুইয়া কালু বলেন, রাতের আধারে যারা আন্দোলনের নামে নাশকতা করে মানুষ মারছে, গাড়ী ভাংচুর করছে, জনগণের জানমালের ক্ষয়-ক্ষতি করছে এরা কোন রাজনৈতিক দলের হতে পারেনা। চাঁদপুর হলো একটি শান্তির শহর। এখানে রাজনৈতি মতবিরোধ থাকতে পারে কিন্তু দলীয় কার্যালয়ে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে অগ্নি কান্ডের ঘটনা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায়না। এই সন্ত্রাসীরা শান্তির শহর চাঁদপুর অশান্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। অগ্নি কান্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, জেলা আওয়ামলীগ নেতা তাফাজ্জল হোসেন পাটওয়ারী এসডু, অজয় ভৌমিক, প্রকৌশলি আব্দুর রব ভুইয়া, বিল্লাল আখন্দ, যুবলীগ নেতা বেলায়েত হোসেন বিল্লাল, কাউন্সিলর ফরিদা ইলিয়াস, মহিলা লীগ নেত্রী অধ্যাপিকা মাসুদা নূর খান সহ জেলা আওয়ামীলীগ ও অংগ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা।