মতলব প্রতিনিধি-
জমি সংক্রান্ত বিরোধে সৎ নাতী হত্যা করল দাদী খোদেজা বেগমকে (৫৫)। এ ঘটনায় আরো সৎ ২ চাচা ও ফুফু গুরুতর আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, খোদেজা বেগমের ছেলে আল-আমিন (৩৩) ও মেয়ে মনি আক্তার (২৪)। ঘটনায় জড়িত থাকায় পুলিশ দুলালের স্ত্রী ফাতেমাকে আটক করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মতলব উত্তর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের মমরুজকান্দি (আওলা) গ্রামে।
জানা যায়, গত ২২ অক্টোবর উপজেলার মমরুজকান্দি গ্রামের মৃত- ওয়াজ উদ্দিন প্রধানের দ্বিতীয় স্ত্রী খোদেজা বেগম (৬০) ও তার সন্তান জমি বিক্রি করায় মৃত- ওয়াজ উদ্দিনের প্রথম স্ত্রীর সন্তান মৃত- ইমান আলীর ছেলে দুলালের সাথে কয়েকদিন যাবৎ বিরোধ হয়ে আসছিল। গত ২১ অক্টোবর খোদেজা বেগম ও তার সন্তানরা জমি বিক্রি করায় ইমান আলীর ছেলে দুলাল (৩৮), আমির বক্সের ছেলে কালা মনির (৫৫), মৃত- নূরু মন্ডলের ছেলে মহসিন মন্ডল ৩৫), বাবলু মন্ডল (৫০), আলী মিস্ত্রির ছেলে সফিক ৫০), রহিম কবিরাজের ছেলে মোবারক হোসেন (৪৫), আয়াত আলীর ছেলে কবির হোসেন (২০), দুলালের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৩৫), ফুফাতো ভাই বেগমপুর গ্রামের সাহাবুদ্দিনের ছেলে শাহাদাৎ হোসেন (৩৫)সহ আরো কয়েজন বুধবার রাতে পরিকল্পিতভাবে খোদেজা বেগমের ঘরে হামলা দেয়। দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি-সোটা দিয়ে খোদেজা, ছেলে আল-আমিন ও অন্ত:সত্তা মেয়ে মনি আক্তারের উপর এলোপাথাড়িভাবে মারধর করে গুরুতর জখম করে। জমি বিক্রির সাড়ে ৪ লাখ টাকাসহ ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার, দলিলাদি-কাগজপত্র ও মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে। পরে আহতদেরকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাস্তায় আবারো তাদের উপর হামলা করে। পরে ঢাকা নেওয়ার পথে নারায়নগঞ্জের কাঁচপুর এলাকায় রাত ১১.৫৫ মিনিটে খোদেজা বেগম মারা যায়।
মতলব উত্তর থানা পুলিশ খবর পেয়ে থানার এসআই আবু হানিফ বৃহস্পতিবার ভোরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও লাশের সরুতাল করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করেন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় দুলালের স্ত্রী ফাতেমাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে আহত আল-আমিন মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও অন্ত:সত্তা মনি আক্তার মতলব দক্ষিণ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।