সম্পাদকীয়
সরকারের অনেকগুলো শ্লোগানের সাথে অন্যতম শ্লোগান হলো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’। আর সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমে এর প্রমান হলেও ভুমি, ভুমি অফিস, ভুমি রেকর্ড, ইউনিয়ন পর্যায়ে তহশিল কার্যালয়ে এখনও পুরোপুরিভাবে ডিজিটাল করার পদক্ষেপ সরকার হাতে নেয়নি।
সরকার প্রাথমিকভাবে শুধুমাত্র ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় জমির যাবতীয় তথ্য ডিজিটালাইজড করার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে প্রত্যেক বিভাগে কমপক্ষে একটি উপজেলাকে ডিজিটালাইজড করার প্রকল্প হাতে নিতে হবে। তাহলে বিভিন্ন বিভাগের প্রকল্পের জটিলতা বিভাগওয়ারী সমস্যা গ্রস করার সময় উঠে আসবে পরবর্তীতে প্রকল্পের ত্র“টি বিচ্যুতি দ্রুত সংশোধন করে প্রকল্পের কার্যক্রম দ্রুত শেষ করা যাবে।
একটি গোষ্ঠী ভুমিকে কেন্দ্র করে স্বল্প সময়ে বড় লোক হয়েছে। অশিক্ষিত, নিরক্ষর লোককে ধোকা দিয়ে তাদের জমি হাতিয়ে নিচ্ছে বা দখল করে নিচ্ছে। অর্পিত সম্পত্তি ওয়ারিশ সম্পত্তি, খাস সম্পত্তি দখলে নিয়ে জাল দলিল করে বিক্রি করার একটি চক্র দেশের সকল জেলা উপজেলায় সক্রিয়। যদি ভুমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটালাইজড হয় তাহলে মধ্য স্বত্ত্ব ভোগ এই চক্র থেকে ক্রেতা বিক্রেতা মুক্ত হয়ে সঠিক তথ্য জেনে স্বচ্ছভাবে জমি ক্রয় বিক্রয় পারবে। তখন বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে ডিজিটাল হবে।
বলা হয়ে থাকে ভুমি ডিজিটালাইজড হলে এর সাথে জড়িত দলিল লেখক সহ ভুমি ব্যবস্থাপনা নিয়ে যারা কাজ করছেন তারা বেকার হয়ে পড়বেন। তাদের বিরোধীতার জন্যই কি সরকার ধীরে চলো নীতি অনুসরন করছেন? কিন্তু বেকার হয়ে যাবে একথা সঠিক নয়। যেহেতু ভুমি ব্যবস্থা হলো একটি চলমান প্রক্রিয়া তাই ডিজিটালাইজড হলে শুধুমাত্র তাদের নতুন প্রযুক্তির স্বার্থে পরিচিত হতে হবে। সব সময় কম্পিউটার, ল্যাপটপ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হবে। তখন তারা জমি ক্রেতা বিক্রেতা তাকে আরো স্বচ্ছ এবং নির্ভূল তথ্য সরবরাহ করতে পারবে।
আমরা আশা করি সরকার যেহেতু ইউনিয়ন পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তি কেন্দ্র স্থাপন করে এই দেশে প্রযুক্তিগত বিপ্লব ঘটিয়েছেন। টেন্ডার প্রক্রিয়াকে অন লাইন করছেন থ্রি-জি জনগণের জন্য উন্মুক্ত করেছেন। ইন্টারনেটের ব্যবহার সকলের জন্য সহজ করেছেন। তেমনি ভুমি ব্যবস্থাপনাকে প্রযুক্তির আওতায় এনে ডিজিটালাইজড করে এদেশকে আরো এগিযে নিয়ে যাবেন।