শাহরাস্তিতে ুদ্র ব্যবসায়ীদের প্রায় চার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও প্রতারক
শাহরাস্তি প্রতিনিধিঃ চঁদপুরের শাহরাস্তিতে সূচীপাড়া উত্তর ইউনিয়নের শোরসাক গ্রামের মিয়া সাহেব বাড়ির সহিদুল্লাহ মাস্টারের ছেলে দাউদ হোসেন রাজু (২৮) ডাচ্ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুপার এজেন্ট দেয়ার নাম করে ুদ্র মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সে এলাকা ছেড়ে উধাও হয়ে যায়। তার কোনো সন্ধান না পেয়ে ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা কামালের উপস্থিতিতে রাজুর বাড়িতে ব্যবসায়ীগণ বৈঠকে বসেন। এ সময় প্রতারক রাজুর বাবা সহিদুল্লাহ মাস্টার তার ছেলের প্রতারণা করার কথা স্বীকার করেন। তার সকল সম্পত্তির বিনিময়ে ব্যবসায়ীদের অর্থ ফেরৎ দেয়ার কথা জানান তিনি। চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা কামাল জানান, প্রায় ৪ কোটি টাকা নিয়ে রাজু উধাও হয়েছে। তাদের সম্পত্তি বিক্রয় করলেও ১ জনের টাকা পরিশোধ করা সম্ভব না। তিনি আরো জানান, আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে রাজুকে হাজির করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমি আগে ঘটনাটি জানতাম না এখন জানতে পেরে এলাকার জনগণের উপকার না করে বসে থাকতে পারি না।
উপজেলার দেবকরা গ্রামের মৃত নাজির আহম্মেদের ছেলে আবুল বাসার গত ২৬ ডিসেম্বর তিনশ’ টাকার স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামার মাধ্যমে ডাচ্ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুপার এজেন্ট পাওয়ার জন্যে রাজুকে ৭০ লাখ টাকা দেন। এতে ১ নাম্বার সাী হিসেবে স্বার করেন উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক তোফায়েল আহমেদ ইরান। শোরশাক গ্রামের মোশারফ হোসেন জানান, তার ছেলে মেহেদী হাসান (২৭) তাকে না জানিয়ে রাজুকে ২০ লাখ টাকা দেয়। তার সম্পত্তি বিক্রয় করে এ টাকা দিয়েছে। শোরসাক বাজারে অবস্থিত প্রান্তিক বহুমুখী সমবায় সমিতি রাজুর প্রতারণার ফাঁদে পড়ে তাকে ৪৭ লাখ টাকা প্রদান করে। এমনিভাবে একই গ্রামের মাহবুবুর রহমানের পুত্র নিয়াজুর রহমান (২৬) থেকে নেয় ২১ লাখ টাকা, আনোয়ার হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৮) থেকে নেয় ১৯ লাখ টাকা, আঃ আজিজ মজুমদারের ছেলে মহিনউদ্দিনের (৩২) সাড়ে ৯ লাখ টাকা, হাড়াইর পাড়া গ্রামের মান্নান মাস্টারে ছেলে মানিক হোসেনের (৩০) ৩ লাখ টাকা, পাড়ানগর এলাকার মনির হোসেনের পুত্র আরিফ হোসেনের ২৬ লাখ টাকা, রাগৈ গ্রামের মোহাম্মদ উল্লাহর ছেলে মোঃ ফরহাদ (২৭) থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা, শ্যামপুর গ্রামের মৃত আঃ মালেকের পুত্র মোঃ বাহারের (৩০) তিন লাখ টাকা, নরহ গ্রামের আঃ আউয়ালের ছেলে মোঃ সাজেদুল ইসলামের (৩৫) ২ লাখ টাকা রামগঞ্জ উপজেলার ডল্টা গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে মোঃ মহসিনের (৪৭) ১২ লাখ টাকা, উঘারিয়ার নূরুল আমিনের ছেলে নাঈম (২৭) ১২ লাখ টাকা, লোটরা গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে ওমর ফারুকের (২৫) সাড়ে ৩ লাখ টাকাসহ আরও অনেকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিগ্রস্থ সকলেই ুদ্র ব্যবসায়ী। বিভিন্ন বাজারে তারা মোবাইল সার্ভেসিং ও ফ্যাক্সি লোডের দোকান দিয়ে আসছে। অধিক মুনাফা ও ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট পাওয়ার আসায় তারা এ প্রতারকের ফাঁদে পড়ে। ইউপি চেয়ারম্যান জানান, বর্তমানে রাজু টাকা নিয়ে ভারতে অবস্থান করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকারি বিভিন্ন মহলে অবহিত করবেন বলে জানান।