মোঃ জামাল হোসেন ॥
শাহরাস্তিতে ৩ সন্তানের জননী রশিদা বেগম (৪৮) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তবে নিহতের পরিবারের দাবী তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে শাহরাস্তি মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। নিহত গৃহবধুর পরিবার সূত্রে জানায় উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের জি.সি বাড়ীর ওমান প্রবাসী ছবর আলী (৫৫) সাথে একই বাড়ীর মৃত আব্দুল করিমের মেয়ে রশিদা বেগমের সাথে ৩৫ বৎসর পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে প্রবাসী ছবর আলী স্ত্রীকে বিভিন্ন ভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছে। এ বিষয়ে এলাকায় বেশ কয়েকবার শালিশী বৈঠক বসে। ২ মাস পূর্বে ওমান প্রবাসী ছবর আলী দেশে এসে স্ত্রীর উপর পূর্বের ন্যায় অমানসিক নির্যাতন শুরু করে। ঘটনার দিন ২৬ ফেব্র“য়ারী দুপুর আড়াই টায় ছবর আলীর ভাতিজা সম্পর্কীয় জামাল হোসেন নিহত গৃহ বধুর বড় ভাই হাজী ছেফায়েত উল্লাহকে হোসেনপুর বাজারে এসে তার বোন বিষ খেয়েছে বলে খবর দেয়। ভাই ছেফায়েত উল্লাহ দ্রুত বোনের বাড়ীতে এসে রশিদা বেগমকে তার বসত ঘরের মাটিতে মুমুর্ষ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে দ্রুত তাকে সিএনজি যোগে শাহরাস্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করে। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে শাহরাস্তি কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ডা. মুশফেক বিন বাকের জানান, প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা কালে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার পরিবারের পক্ষ থেকে বিষ খেয়েছে বলে দাবী করলেও এমন কোন আলামত প্রাথমিকভাবে পাওয়া যায়নি।
নিহত গৃহবধুর বড় ভাই হাজী ছেফায়েত উল্লাহ দাবী করেন, তার বোনকে শারীরিক নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। বিয়ের পর থেকেই তার উপর নির্যাতন চলে আসছে। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী ছবর আলী পালাতক রয়েছে। নিহতের শ্বশুর বাড়ীর পক্ষ থেকে কেউ দেখতে আসেনি। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।