হাজীগঞ্জে একের পর এক সরকারি সেচ খালের উপর কালভাট তৈরি করে পুরাপুরি অংশ দখলের অভিযোগ পাওয়া যায়। বছরের পর বছর এসব সেচ খাল দখল করে আসলেও যেন প্রশাসনের কোন নজর নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাজীগঞ্জের গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের কাকৈরতলা গ্রামের শত বছরের পুরানো সেচ খালের উপর গ্রামের মিজি বাড়ীর নুরুল্ল্যার ছেলে প্রবাসী ইউসুফ জোরপূর্বক সরকারি খালের উপর কালভাট নির্মাণ করছে। তার এই কাজে তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন একই গ্রামের মামা খোরশেদ আলম। তার নির্দেশনায় শ্রমিকরা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমানে সেচ খালটির উপর দিয়ে যেন নতুন ছোট পিচঢালা রাস্তার দৃশ্যমান। ৭/৮ জন শ্রমিক উক্ত নির্মাণ কাজে নিয়োজিত। শ্রমিক নেতা আবু সালেহ বলেন, প্রায় একশ ফুট লম্বা কালভাটি নির্মাণ করা হবে। এর আগে খালের দুই পাশের পানি আটকিয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করি।
খাল ভরাটের বিষয়ে দখলদার খোরশেদ মিয়ার ছেলে শাহজাহান বলেন, এর আগে যারা খাল দখল করেছে তারাও নিচ দিয়ে শুরু কালভাট নির্মাণ করেছে। আমাদের মাত্র ৯ শতাংশ যায়গার মূখ। আমরাও তাদের মত খালের মাঝখান দিয়ে কালভাট তৈরি করছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন অনুমতি পূর্বে যারা করেছে তারাও নেয়নি তাই আমরাও নেইনি। তবে বিষয়টি আমাদের ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মো. হাবিবকে অবহিত করেছি।
এর আগে গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী ফয়েজসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা কাকৈরতলা সেচ খালের উপর কালভাট নির্মাণের মাধ্যমে মাটি দিয়ে ভরাট করে মার্কেট, দোকান, ও বাড়ী ঘর জোরপূর্বক দখল করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
কাকৈরতলা গ্রামের কৃষক মজিবুর রহমান, ওয়ালিউল্ল্যা ও আবু সালেহ বলেন, আমরা পানি সেচের কারনে সময়মত চাষাবাদ করতে পারি না। এক সময় পুরানো এ খাল দিয়ে নৌকা ও যাহাজ চলাচল করেছিল, বর্তমানে এমন অবস্থা যে খালের অস্তিত খুজে পাওয়াটা মসকিল হয়ে দাড়াবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা বলেন, কৃষকদের সেচ প্রকল্পে বাধাঁ সৃষ্টি করে খাল দখল করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত জবাব দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, সরকারি খাল দখল করে কালভাট নির্মাণের চেষ্টা করা হলে সে যত বড় প্রভাবশালী হোক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।