মানিক দাস , চাঁদপুর ॥
চাঁদপুর সদর উপজেলার ১নং বিষ্ণপুর ইউনিয়নের খেরদিয়া গ্রামের আখন বাড়ীতে পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টায় আদালতে মামলা হওয়ায় আসামী পক্ষের লোকজনেরা বাড়ি ছেড়ে পাালিয়ে গেছে। তারা বাদী পক্ষের লোকজনকে মুঠোফোনে প্রাণ নাশের হুমকি অব্যাহত রেখেছে। আসামী খোকন প্রধানিয়া, ফারুক প্রধানিয়া, লিটন প্রধানিয়া, আবু বকর সিদ্দিক, ও আবদুল মান্নান প্রধানিয়া বর্তমানে বাদী পক্ষকে সমঝোতায় যেতে বিভিন্ন লোকদের মাধ্যমে তদবির করতে দেখা গেছে। কিন্তু অসহায় বাদী শহিদ প্রধানিয়া কোনমতে সমঝোতায় যেতে রাজি নন। তিনি বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই আমি আইনের মাধ্যমে এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। গত ১৬ মার্চ চাঁদপুর সদর মডেল থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এ এস আই আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনে ঘটনার সত্যতা মিল রয়েছে । এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে আলাপকালে তিনি জানান বাদী শহিদ প্রধানিয়া ৫জনকে আসামী করে চাঁদপুর বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে মামলা দায়ের করেছে। আদালত আগামী ২৯ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশ অনুয়ায়ী আমি আমার দায়িত্ব পালন করবো। সরজমিনে গিয়ে প্রত্যক্ষ দোষী ও স্বাক্ষীগণের সাথে আলাপকালে যা শুনেছি তাই আমি উল্লেখিত তারিখের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করবো। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাতে একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা চালাচ্ছে। এমন কি বাদী শহিদ প্রধানিয়া ও তার ছেলে মহসিনকে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে যাতে এ মামলা থেকে আসামীরা পরিত্রান পায় এবং মামলা উঠানোর জন্য বারবার সমঝোতায় যেতে চাপ প্রয়োগ করছে বলে তারা অভিযোগ করেন। তবে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, আসামী পক্ষের লোকজন অত্যান্ত দুষ্ট প্রকৃতির লোক, ভূমি দস্যু সহ বিভিন্ন অপরাধ অপকর্মের সাথে জড়িত বলে জানান তারা। তারা আরো জানান, ঐ আসামীরা শহিদ প্রধানিয়া পরিবারকে বাড়ি ছাড়া করার জন্য বিভিন্ন পায়তারা করছে। শহিদ প্রধানিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যে ২টি মামলা দায়ের করেছে। সেই মামলা শহিদ প্রধানিয়ার পক্ষে রায় দেয় আদালত, তবুও ক্ষান্ত হয়নি ঐ কুচর্কী মহল। এ ব্যাপারে মামলার বাদী শহিদ প্রধানিয়া ও তার ছেলে মহসিনকে হুমকি ধমকি প্রদান করছে।