বিয়ের ২৭ দিনের মাথায় রাজশাহীর মোহনপুরে যৌন নিপীড়নের শিকার কিশোরী স্ত্রীর হাতে খুন হয়েছেন স্বামী হারুনুর রশিদ (১৮)। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উপজেলার বিষহরা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। নিহত যুবক হারুনুর রশিদ ওই গ্রামের বয়জুল মণ্ডলের ছেলে।
গ্রেপ্তার গৃহবধূ বাবার বাড়ি একই উপজেলার ভীমনগর পালশা গ্রামে। ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ দিন আগে পারিবারিকভাবেই হারুনুর রশিদের সাথে বিয়ে বাল্য বিয়ে হয় ভীমনগর পালশা গ্রামের মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ওই নববধূর। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে তার স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
গত ১৯ মার্চ হারুনের সাথে তার বিয়ে দেয়া হয়। বয়স কম বলে ওই কিশোরীর খালার বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় একজন কাজী এই বিয়ে পড়ান। মোহনপুর থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত হারুনের লাশ পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুর রহমান বলেন, অনেকটা জোর করেই তার বিয়ে দেয়া হয়েছিল নববধূর। বিয়ের পর স্বামীর যৌন চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। গত মঙ্গলবার রাতেও স্বামী তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চান। তখন মেয়েটি জানায়, তার শারীরিক সমস্যার কথা। তখন স্ত্রীর গায়ে হাত তোলেন হারুন। পরে গৃহবধূ কৌশলে স্বামীর দুই হাত বেঁধে ফেলে। এরপর পাটের রশি গলায় পেঁচিয়ে ধরে। আর এতেই দ্রুত তার স্বামীর মৃত্যু হয়।
ওসি তৌহিদুর রহমান আরও বলেন, স্বামীর হাতে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বাল্যবিয়ের শিকার ওই নববধূ। মেয়েটির চেয়ে ছেলের শারীরিক গঠন দ্বিগুণ। তারপরও সে স্বামীকে হত্যা করতে পেরেছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে আদালতে তোলা হলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। এর আগে নিহত হারুনের বাবা মেয়েটির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।