চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দক্ষিণ গাজীপুর গ্রামে জমি-জমার বিরোধের জের ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে একই পরিবারের বৃদ্ধা ও নারীসহ কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনোয়ার হোসেন মাঝি (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ বৃহস্পতিবার রাতে মারা যায়।
ঘটনাটি ঘটে, গত ১৮ মে দুপুর আনুমানিক আড়াইটায় দক্ষিণ গাজীপুর সংলগ্ন উদ্দমদী পাম্প হাউজের কাছে। আহতরা হচ্ছেন- আনোয়ার মাঝির স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম (৪৫), মেয়ে ঝর্ণা (২২), ছেলে সজিব (২৪) সহ আরো ৩ জন। তাদের মধ্যে ৩ জনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভর্তি হওয়া আনোয়ার হোসেন মাঝির অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল। শুক্রবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মুক্তার হোসেন মাঝি বাদি হয়ে সুমন বেপারীকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। আসামীরা এখনো ধরাছোয়ার বাহিরে রয়েছে। আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
আহতদের মধ্যে একজন চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীনে রয়েছে। হাসপাতাল ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ গাজীপুর গ্রামের মৃত দিলু গাজীর ছেলে আনোয়ার মাঝির সঙ্গে একই গ্রামের সফিউদ্দিন প্রধানের মধ্যে জমি-জমা নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল।
গত ১৮ মে মঙ্গলবার দুপুরে আনোয়ার মাঝির ছেলে সজিবকে উদ্দমদী পাম্প হাউজের সামনে সেরাজল মিজীর বাড়ীর সামনে একা পেয়ে সফিউদ্দিন প্রধানের ছেলে সুমন প্রধান বেধড়ক মারধর করতে থাকে। তার ডাক চিৎকার শোনে আনোয়ার মাঝি ও তার স্ত্রী, সন্তানরা এগিয়ে আসলে তাদের উপরও হামলা করে সুমন ও তার বাবা সফিউদ্দিন, ভাই কামরুল, মাহবুব, চাচাতো ভাই ফরহাদ, সম্রাট, শাহজাহান, আবুলসহ আরো অনেকে।
পরে এলাকার লোকজন চারদিক থেকে এগিয়ে এসে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় আনোয়ার মাঝিসহ তার স্ত্রী সন্তানদের উদ্ধার করে প্রথমে চাঁদপুর ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে আনোয়ারের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রতিপক্ষ সুমন প্রধানসহ তাদের পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহজাহান কামাল বলেন, এ ব্যাপারে মুক্তার হোসেন মাঝি বাদি হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ্য করে একটি মামলা দায়ের করেছে। আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে।