মোহাম্মদপুর (ঢাকা) প্রতিনিধি
জানা গেছে, রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন দুজন। একটি বিষয় নিয়ে গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হওয়ায় তানজিলা বাবার বাড়ি চলে যেতে চান। এ সময় স্ত্রীর হাত-পা বেঁধে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে নিজের গলায় ফাঁস দেন আশিক।
পরে তানজিলার চিৎকার শুনে পাশের রুমের লোকজন এসে আশিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
২৬ বছর বয়সী আশিক ঝালকাঠি সদর উপজেলার দিবাকরকাঠি গ্রামের খন্দকার এনায়েত হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় তার স্ত্রী তানজিলা মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে মোহাম্মদপুর কাটাসুরের ২ নম্বর গলির ৯৩/১ নম্বর বাসার নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে আশিকের স্ত্রী তানজিলা আক্তার বলেন, আমাদের পরিচয়ের একপর্যায়ে আমরা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। গত পাঁচ মাস আগে আমরা পালিয়ে বিয়ে করি। বিয়ের পর আমার স্বামীর পরিবার থেকে মেনে নিলেও আমার পরিবার থেকে আমাদের বিয়ে মেনে নেয়নি। গতকাল রাতে একটা বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। তখন আমি রাগ করে বলি আমি বাবার বাড়ি চলে যাব। পরে সে রশি দিয়ে আমার হাত-পা বেঁধে বালিশের কভার দিয়ে আমার চোখ-মুখ বেঁধে দেয়। কিছুক্ষণ পর আমি জোরাজুরি করে হাত আর চোখের বাঁধন খুলে দেখি সে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে আমি চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ ঘটনায় আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। আশিকের স্ত্রী বর্তমানে আমাদের হেফাজতে আছেন। এ ঘটনায় একটি আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা দায়ের হবে। কীভাবে সে (আশিক) মারা গেল- তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে সঠিক কারণ জানতে পারব।