বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গার্ড অব অনারে নারী কর্মকর্তাদের বাদ রাখার প্রস্তাব প্রত্যাহার
জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি শাজাহান খান। বৈঠকে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কাজী ফিরোজ রশীদ ও এ কে এম রহমাতুল্লাহ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শাজাহান খান সাংবাদিকদের জানান, আগের বৈঠকে কমিটির একজন সদস্য বরণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়ার ক্ষেত্রে নারী কর্মকর্তাদের বাদ রাখার বিষয়ে আলোচনা তুলেছিলেন। ওই বৈঠকের কার্যবিবরণী অনুমোদনকালে ওই প্রস্তাবটি বাদ দেওয়া দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, কমিটির আগের বৈঠকে গার্ড অব অনার প্রদানের ক্ষেত্রে দিনের বেলায় আয়োজন ও নারী ইউএনও’র বিকল্প ব্যক্তি নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়। অনেক স্থানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে নারী কর্মকর্তারা রয়েছেন, আর সেখানেই আপত্তি তোলে সংসদীয় কমিটি। কমিটির এই প্রস্তাবে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সংসদ অধিবেশনে বিরোধী দল, সরকারের শরিক ও খোদ সরকারি দলের সদস্যরাও এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সংসদীয় ওই কমিটির সুপারিশ যাতে বাস্তবায়ন না হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি ওঠে সংসদে।
উল্লেখ্য, সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী, কোনও বীর মুক্তিযোদ্ধা মারা যাওয়ার পর তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানায় সংশ্লিষ্ট জেলা বা উপজেলা প্রশাসন। ডিসি বা ইউএনও সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে থাকেন। কফিনে সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী কর্মকর্তা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
সংসদ সচিবালয় জানায়, কমিটির বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও কল্যাণ ট্রাস্টের জমি-জমা সংক্রান্ত কাগজপত্র হালনাগাদের অগ্রগতি সম্পর্কিত তথ্যাদি আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য বলা হয়। এছাড়া জেলা অথবা উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স অফিস নিচতলায় স্থাপন করার লক্ষ্যে বিদ্যমান দোকান স্থানান্তরের সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া বৈঠকে সকল সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি ও ২২টি বিশেষায়িত হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করা হবে বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়।