বাসা থেকে ছিটকে পড়া বাচ্চা পাখিটি তখনো ঠিকমতো উড়তে শেখেনি। মা পাখিটি তাই বাচ্চা পাখিটির চারদিকে উড়ে-উড়ে ঘুরেছে, কিন্তু তাকে নিয়ে আর উড়াল দিতে পারেনি। নিরুপায় হয়ে অদূরে থাকা দালানের গম্বুজে বসে মা পাখি ডাকছে আর ছটফট করছে।
বাসা থেকে পড়ে যাওয়ার পর বাচ্চা পাখিটি যার যত্নে বেড়ে উঠছে সেই মানুষটি পড়েছেন এক মধুর বিড়ম্বনায়। তাকে ছেড়ে বুলবুলির বাচ্চাটি এখন আর যাচ্ছেই না। ঠিকমতো খাবার খাওয়ানোসহ পাখির বাচ্চাটিকে তাই তার চোখে চোখে রাখতে হচ্ছে। এখন উড়তে পারলেও কিছুদিন আগে যখন উড়তে পারত না তখন বুলবুলির এই বাচ্চাটিকে হাতে নিয়েই ঘুরতে হতো। বাসার ছাদে নিয়ে গেলে মা পাখিটা এসে উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে দেখে যেতো। ইদানিং আর মা পাখিটা আসছে না। কি জানি কোথায় আবার হারিয়ে গেছে সে?
তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে বুলবুলির এই বাচ্চাকে নিয়ে এখন চিন্তায় পড়েছেন সুপ্রিম কোর্টের তরুণ আইনজীবী শাহ্ নাভিলা কাশফি। কারন লকডাউনের বিধিনিষেধ শেষে গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলপুর থেকে তাকে পেশাগত কাজে আবার আসতে হবে ঢাকায়। তখন ‘বুলবুল’ নাম রাখা এই বাচ্চা পাখিটির কী হবে? যদিও এমন প্রশ্নের সমাধান সূত্র না খুঁজে নাভিলা কাশফি চান কিছু দিনের মায়ার বাধনে জড়ানো ছোট্ট পাখিটি একসময় উড়ে যাক আকাশে।