নির্বাচন কমিশন আজ সোমবার ব্যালট পেপারসহ অন্যান্য নির্বাচনী সামগ্রী জেলা পর্যায়ে পাঠাতে শুরু করেছে। প্রথম ধাপে দূরবর্তী ১৩ জেলার ৫২ আসনে ব্যালট পেপার, পোস্টাল ব্যালট পেপার, পোস্টাল ব্যালট পেপারের সঙ্গে সম্পর্কিত ফরম এবং স্ট্যাম্প প্যাড সরবরাহ করা হয়।
প্রথম দিন রাজধানীর তেজগাঁওয়ের গভর্নমেন্ট প্রিন্টিং প্রেস, বিজি প্রেস ও সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস থেকে ব্যালট পেপারসহ অন্যান্য নির্বাচনী সামগ্রী দেওয়া শুরু হয়। জেলাগুলো হলো- পঞ্চগড়, গাইবান্ধা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া,মাগুরা,রাঙ্গামাটি,জয়পুরহাট,চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঝালকাঠি,ভোলা,বরগুনা, পটুয়াখালী এবং নেত্রকোনা।
সোমবার ওইসব জেলা থেকে আসা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে বড় কাভার্ড ভ্যানে করে সরকারি ওই তিন প্রেস থেকে সেগুলো বিতরণ করা হয়। পরে এ বিষয়ে ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মোহাম্মদ শাহজালাল সাংবাদিকদের জানান, ‘দূরবর্তী জেলা বিবেচনায় ১৩টি জেলা দিয়ে আমরা এ পর্যায়ে ব্যালট পেপার পাঠানো শুরু করেছি। তবে যেসব আসনে প্রার্থীরা প্রার্থিতা ফিরে পেতে মামলা করেছেন, সে সব আসনে মুদ্রণের কাজ শেষের দিকে হবে। সেগুলো পাঠানোও হবে শেষ দিকে। এসব ব্যালট পেপার সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসনের ট্রেজারি শাখায় পুলিশি নিরাপত্তায় রাখা হবে।’ ইসির তথ্য অনুযায়ী, মামলা জটিলতার শিকার হয়েছে অন্তত ৪০টি আসন ।
নির্বাচনে অংশ না নেওয়া দলগুলোর হরতাল-অবরোধের কারণে ব্যালট পেপার পৌঁছাতে কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো পর্যন্ত কোনো ঝুঁকি দেখছি না। তারপরও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে এসব ব্যালট পেপার পৌঁছানো হচ্ছে। ব্যালট পেপার নিতে জেলাগুলো থেকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, একজন নির্বাচন কর্মকর্তা ও নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সদস্যরা এসেছেন। মহাসড়কেও থাকছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।’
ব্যালট পেপার, পোস্টাল ব্যালট পেপার, পোস্টাল ব্যালট পেপারের সঙ্গে সম্পর্কিত ফরম ও স্ট্যাম্প প্যাড গ্রহণ করার জন্য পরিপত্র-১৪ অনুসরণ করে সিনিয়র জেলা বা জেলা নির্বাচন অফিসার অথবা অন্য কোনো কর্মকর্তাকে (সহকারী কমিশনার/সিনিয়র সহকারী কমিশনার) দুই প্রস্থ লিখিত ক্ষমতাপত্র নিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট প্রেসে পাঠানোর জন্য সব রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অনুরোধ করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যালট পেপার এবং পোস্টাল ব্যালট পেপার কাভার্ড ভ্যানে পৌঁছানোর উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, ছাপাখানা থেকে ব্যালট পেপার ও পোস্টাল ব্যালট বুঝে নেওয়ার আগে নির্বাচন ভবনের গোডাউন থেকে স্ট্যাম্প প্যাড সংগ্রহ করতে হবে।একইসঙ্গে ব্যালট পেপার, পোস্টাল ব্যালট পেপারের সঙ্গে সম্পর্কিত ফরম এবং স্ট্যাম্প প্যাড ডিসি অফিসের ট্রেজারি শাখায় সংরক্ষণসহ সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এসব সামগ্রী সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পৌঁছানোর পর ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কোনো অসঙ্গতি দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।