জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্টপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের দ্বিতীয় ছেলে শাহাতা জারাব এরশাদ এরিক বলেছেন, ‘আমার এবং আমার মা বিদিশা এরশাদের ক্ষতি করার জন্য চাচা জিএম কাদের মিথ্যা নিউজ করাচ্ছেন। এতে আমাদের যদি কোনো ক্ষতি হয়, তাহলে সেজন্য চাচা দায়ী থাকবেন।’
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন এরিক এরশাদ। দেশের একটি গণমাধ্যমে ‘পাসপোর্ট ও জন্মনিবন্ধনে বিস্ময়কর তথ্য: বিদিশার দুই পুত্রের জন্ম একদিনে, বাবা দুইজন!’ এই শিরোনামে নিউজ প্রকাশিত হয়। এই নিউজ মিথ্য দাবি করে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এরশাদ ট্রাস্ট। তবে সেখানে বিদিশা সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন না।
সংবাদ সম্মেলনে এরিক এরশাদ বলেন, ‘আমার এবং মা বিদিশা এরশাদের বিরুদ্ধে চাচা জিএম কাদের কিছু মিথ্যা ও বানোয়াট নিউজ করাচ্ছেন। এসবের কারণে আমার ও মায়ের কিছু হলে সেজন্য দায়ী থাকবেন জিএম কাদের।’ এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের কঠোর সমালোচনা করে এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশীদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টির অফিসিয়ালি পেজে এরিক ও বিদিশার নিউজ শেয়ার করা হচ্ছে। সব ষড়যন্ত্রে জিএম কাদের দায়ী। এরিককে সরাতে পারলে তিনি ট্রাস্টি সম্পদ দখল করতে পারবেন। জিএম কাদের এরশাদ পরিবারকে ধ্বংস করার যড়যন্ত্রে লিপ্ত। এরশাদের মৃতুর পর থেকে তিনি নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করে আসছেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রয়াত এরশাদের জীবদ্দশায় এরিকের জন্ম নিয়ে কোনো প্রশ্ন না করলেও এখন এগুলো করা হচ্ছে। এরশাদ ক্ষমতা ছাড়ার পরও ২৭ বছর জীবিত ছিলেন। তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় কেউ তার বিরুদ্ধে টাকা পাচারের অভিযোগ করেননি। তার বিরুদ্ধে যত মামলা হয়েছিল প্রত্যেকটিতে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। আজ তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’
মামুনুর রশিদ বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমরা প্রেস ক্লাবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের একটি স্মরণ সভা করেছিলাম। সেই সভায় আমরা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলেছিলাম। যখনি আমরা পার্টির চেয়ারম্যানের ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলেছি, তখনি কিন্তু এরশাদ, এরিক ও বিদিশাকে কেন্দ্র করে নিউজ করা হয়। জাপার ফেসবুক পেজ থেকে নিউজগুলোর প্রচার করা হয়। জাপা চেয়ারম্যানের ফেসবুক থেকেও নিউজগুলোর প্রচার চালানো হয়। জাপা ও সারাদেশের মানুষ বিশ্বাস করেন এসব নিউজ ও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের জড়িত।’
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মামুন বলেন, ‘দেশে এখন দেশে সরকারি কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। সাধারণ ভার্চুয়াল আদালতে মামলা করা যায় না। ফলে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা এই গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’