রাজধানীর বাজারগুলোতে ঈদের পর নতুন করে আবারও বেড়েছে পেঁয়াজ-রসুন, আলু ও ডিমের দাম। তবে দাম কমেছে চাল, সবজি, ব্রয়লার মুরগি এবং গরু ও ছাগলের মাংস। শুক্রবার (২১ মে) বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা, রসুনের ৭ টাকা, আলুর ২ থেকে ৪ টাকা এবং হালিপ্রতি ডিমের দাম বেড়েছে ২ থেকে ৪ টাকা।
দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা কেজিতে। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজিতে। রসুন রাজধানীর বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে ১১২ টাকা থেকে ১১৫ টাকা কেজিতে। সাদা আলুর পাইকারিতে ১৯-২০ টাকা কেজি। আর খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ২২-২৫ টাকা কেজিতে। লাল ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। হাঁসের ডিমের দাম কমে ডজন এখন ১৩৫ টাকা।
বাজারে প্রতিকেজি বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, মিনিকেট ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা, নাজিরশাইল ৬২ থেকে ৬৪ টাকা, মোটা চাল ৪০ থেকে ৪২ টাকা, পোলাওয়ের চাল ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। বাজারে ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৩৯ টাকায়। বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৮ টাকা করে।
সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০ থেকে ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কচুরলতি ৫০-৬০ টাকা, সজনে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, আলু মানভেদে ২০-২৫ টাকা, কাঁচামরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। প্রতিপিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০-৪০ টাকায়।
এছাড়া কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। পেঁপে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা ও লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়।
প্রতিকেজিতে ২০ টাকা দাম কমে সোনালি (কক) মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায়। বাজারে প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকায়।
মিরপুরের কাজীপাড়া বাজার করতে আসা ফয়সাল বলেন, ঈদের আগেও ১৮ টাকা কেজিতে আলু কিনেছি। আজ ২২ টাকা কেজি। তিন দোকান ঘুরে ২২ টাকা কেজি দরে কিনেছি। দোকানদার বলছে কাল থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে কিনতে হবে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় দাম বেড়েছে। রসুন, আলু এবং ডিমের সরবরাহ কম হওয়ায় আড়তদাররা দাম বাড়িয়েছেন। একদিকে করোনা অন্যদিকে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় ক্রেতারা চরমভাবে হতাশ। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।