হাজীগঞ্জে বইতে শুরু করেছে ভোটে হাওয়া। চতুর্থ দয়ায় আগামী ডিসেম্বরে এ উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নের নির্বাচন হতে পারে- এমন ভাবনায় জোরেশোরে মাঠে নেমেেেছন আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাদের কর্মর্ক সমর্থক। গ্রামে গ্রামে পাড়া-মহল্লায় চলছে গনসংযোগ, উঠান বৈঠক আর সভা সমাবেশ। নির্বাচনী আমেজে সরগরম হয়ে উঠেছে চায়ের দোকারন। নৌকার প্রতীক পেতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা কর্ম-সমর্থকদের নিয়ে ছুটছেন জেলা আওয়ামীলীগের নেতাদের পাশাপাশি স্থানীয় সংসদ সদস্যর কাছে। এমন দৃশ্য উপজেলা ১১ টি ইউনিয়নে। এসব ইউনিয়নে সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন অন্তত ১১১জন। এর মধ্যে কেন্দ্রী আওয়ামীলীগের নিদের্শে জেলা আওয়ামীলীগের পরামর্শে হাজীগঞ্জ উপজেলা ১১টি ইউনিয়নে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্ধিত সভায় কয়েক ইউনিয়নের হট্টগোল হয়েছে। বর্ধিত সভায় প্রায় প্রতি ইউনিয়নে ৭ থেকে ১৭ জন প্রার্থী রয়েছে। গড়ে ১১১জন চেয়ারম্যান প্রার্থী নৌকা পেতে মরিয়া। তবে নির্বাচন নিয়ে তৎপর নেই বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে। তবে দল থেকে সিদ্ধান্ত নিলে প্রার্থীর হওয়ার প্রস্তুতিও রেখেছেন অনেক ইউনিয়নে। এর পরেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছে প্রতি ইউনিয়নে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন চলিত বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হবে। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় মাঠ পর্যায়ে তারা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছেন।
এক নং রাজারগাও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ আবদুল হাদী মিয়া(চেয়ারম্যান), সাধারণ সম্পাদক হাজী আবুল কালাম আবু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান, মনির খান, বাবুল পাটওয়ারী, রফিক পাটওয়ারী, আবদুর রব মিয়া, মালেক সুজন, কামরুজ্জামান বকাউল, মান্নান বেপারী, শাহজালাল চৌধুরী মানিক, শফিকুর রহমান, হান্নান পাটওয়ারী, দেলোয়ার হোসেন দুলু, এম এ সালাহ উদ্দিন।
২নং বাকিলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহান্মদ হাবিবুর রহমান লিটন, সভাপতি ইউসূফ পাটওয়ারী, অমল ধর, ওয়াহিদুজ্জামান পাওয়ারী, নজরুল ইসলাম নজু, নাজমুল আহসান নয়, ইব্রাহীম খান রনি, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, আনোয়ার হোসেন।
৩নং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মানিক হোসেন প্রধানিয়া, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান পলাশ, মনির হোসেন মাষ্টার, বিলাল হোসেন, শাখাওয়াত।
৪নং কালোচ দক্ষিন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আক্তার হোসেন মিকণ, সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা মাইনুদ্দিন, এস এম মানিক, আনোয়ার হোসেন, মাহফুজুর রহমান, শাহাদাত হোসেন মজুমদার, জসিম উদ্দিন, মুক্তা আক্তার।
৫ নং সদন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন সবুজ, ইউসুফ প্রধানিয়া সুমন,
৬ নং কবির হোসেন মিয়াজি, মোতালেব হোসেন, আবু তাহের কোম্পানী, আহসান হাবীব,মজিবুর রহামন,
৭ নং বড়কুল মনির হোসনে গাজী, আবুল হাসেম,ইয়াছিন আরাফাত, কামরুল ইসলাম রনি, আবদুস সামাদ, নাহিদুল ইসলাম নাহিদ, লোটাস কামাল দেলোয়ার,
৮নং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোস্তফা কামাল,সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, বর্তমান চেয়ারম্যান জলিলুর রহমান মির্জা দুলাল, আবু সালে মোঃ রাসেন,
৯ নং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী বেলাল, সাধারণ সম্পাদক , চেয়ারম্যান রাফিকুল ইসলাম, ইমাম হোসেন হিরা, আলী আহমেদ ভূইয়া, আবুল কাশেম বেপারী, মিজানুর রহমান,
১০ নং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, সিরাজুল ইসলাম, দুলাল হোসেন,
১১ নং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ রাসেল পাটওয়ারী, জাকির হোসেন লিটু, জাকির হোসেন মিয়াজি, গাজী গোলাম মোস্তফা মশু, জসিম উদ্দিন,এড, শামীম মজুমুদার, জাহাঙ্গীর আলম বিটু, শামীম ভূইয়া।
১ নং রাজারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পদক আবদুল হাদী মিয়া বলেন আমি গত ১০ বছরের যে পরিমান উন্নয়ন করেছে যা অতীত যে কোন চেয়ারম্যানের তুলনায় কয়েকগুন। এলাকার উন্নয়নে মানুষ খুশি। তারাও আমাকে চায় আমি আবারো চেয়ারম্যান হিসেবে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচন করি। দলের সকল শ্রেনীর কর্মীদের সাথে সম্পর্ক থাকায় এবারও আমি দলীয় প্রতীক নৌকা আমাকে দেওয়ার হবে নির্বাচন করার জন্য।
২নং বাকিলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী মুহান্মান হাবিবুর রহমান লিটন বলেন আমি আওয়ামীলীগের দুঃসময় নেতাকর্মীদের পাশে ছিল এবং বর্তমানেও আমি স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর অব রফিকুল ইসলাম বীরউত্তমে এলাকায় সকল ধরণে কাজ করে যাচ্ছি।
এদিকে বিএনপির একটি সূত্রে এ প্রতিনিধিকে নিশ্চিত করে বলেন বিএনপি আনুষ্ঠানিক ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচনে না গেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে বাধা নেই। তাই আমাদের হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ১১ টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী চুডান্ত করে রেখেছে এবং আমরা দলের স্থানীয় নেতাদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা ও প্রতিটি কেন্দ্র কমিটি গঠনের কাজ চলছে। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপির ১১টির মধ্যে ৭-৮টিতে নির্বাচিত হবে চেয়ারম্যান।