হাজীগঞ্জ সংবাদদাতা (১৯.১০.২০২১)
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার মালীগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আয়া পদে নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
হাজীগঞ্জ উপজেলার ৯ নম্বর গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের মালীগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে স্কুলের অফিস সহায়ক, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আয়াসহ ৩টি পদের জন্য ১ সেপ্টেম্বর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১৬ প্রার্থী আবেদন করেন। ২৪ সেপ্টেম্বর ১৬জনের উপস্থিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষাথীদের ফলাফল সন্তোষজন না হওয়া ফলাফল স্থগিত করা হয়। এপুনরায় ২৫ সেপ্টেম্বর আবারো জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ দেওয়া হয়। ২য় বিজ্ঞপ্তিতে ২০ জন আবেদন করেন। মালীগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ পর্যায়ে হওয়ায় তড়িঘড়ি করে সকল পদে আবেদনকারীদের কাছে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নোটিশ দেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো.শাহাদত হোসেন ও সভাপতি কাউছার আলম। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিয়োগ পরীক্ষার নির্ধারণ করে ১২ অক্টোবর। ঐদিন নিয়োগ পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করে ১৪জন।
লিখিত পরীক্ষা চলাকালিন মাঝামাঝি সময় নুর হোসেন নামের এক পরিক্ষার্থীর কাছে হাতেনাতে নকল ধরা পড়ে। এতে ৪টি প্রশ্নের মধ্যে ৩টি প্রশ্ন মিলে যায়। সকল পরীক্ষার্থীদের চাপে নুর হোসেন বলেন এই প্রশ্ন তাকে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি দিয়েছেন এবং তাকে পরিচ্ছন্নতা কর্মীর পদে চাকরী দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তার কাছ থেকে নগদ অর্থ অগ্রিম নিয়েছেন।
এনিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও এলাকাবাসীর মধ্যে হট্টেগোল শুরু হয়। সেখানে ৩টি পদের মধ্যে অফিস সহায়ক,পরিচ্ছন্নতা কর্মী এই দুইটি পদ বিধি মোতাবেক ৯ জনের উপস্থিতি স্বাক্ষর দেখিয়ে চূড়ান্ত করেন নিয়োগ কমিটি। এতে চাকরি প্রার্থীরা অনিয়মের অভিযোগ এনে আপত্তি জানায়।
স্থানীয় চাকরি প্রার্থী নোমান, মহিন, জহির সহ বেশ কয়েকজন জানান, সুষ্ঠু ভাবে নিয়োগ পরীক্ষা হয়নি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং সভাপতি মিলে আগাম প্রায় ৯ লাখ টাকার বিনিময়ে অল্প শিক্ষার সনদে ওই সকল পদে চাকরি দিয়ে নিজেরা লাভবান হয়েছেন।
বিদ্যালয়ের আরেক সদস্য হাবিবুর রহমান বাবলু বলেন, পরীক্ষার দিন গিয়ে দেখি বিদ্যালয়ের সভাপতি কাউছার ও প্রধান শিক্ষক শাহাদাত হোসেন তাদের পছন্দের দুই প্রার্থীর খাতায় নিজেরা লিখে দিচ্ছেন। আমি এ অনিয়োমের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছি।
মালীগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহাদাত হোসেন জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ পর্যায়ে তাই সভাপতির অনুরোদে দ্রুত নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। যারা নিয়োগ পেয়েছে তা বিধি অনুযায়ী কার্যকর করা হয়েছে। আর কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য নই বলে তিনি ব্যস্ততা দেখান।