হাজীগঞ্জে অপহরণের ২৪ ঘন্টার মাথায় সপ্তম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ । সেই সাথে অপহণকারীর ৩ সদস্যকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। আটকৃতরা হলেন, সবুজ সৃত্রধর (১৭), শাওন চন্দ্র সাহা (২৭) ও সহযোগি মেয়ে পিংকি মজুমদার।
ঘটনার বিবরনে জানাযায়, বুধবার রাত ৯টার দিকে হাজীগঞ্জ থানায় একটি অপহরণের ডায়েরী করেন পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ এলাকার বাসিন্দা লাকী বেগম,স্বামী মনির হোসেন প্রবাসী । অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ঐ দিন সকাল ৮টার দিকে তাদের মেয়ে সপ্তম শ্রেনীর এক ছাত্রী (১৩) কে স্কুলে যাওয়ার পথে উপজেলার বেলঘর গ্রামের হিন্দু যুবক সবুজ সৃত্রধর,পিতা হরলাল সৃত্রধর ভয় দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায়।
অভিযোগের আলোকে থানার এস আই মনির হোসেন ঐ দিন রাতেই সবুজকে আটক করে। পরের দিন বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে অপহরণকৃত স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে এবং সেই সাথে বলাখাল হাজীবাড়ীর উত্তম সাহার ছেলে শাওন ও মকিমাবাদ এলাকার বাবুল মজুমদারের মেয়ে পিংকি আক্তারকে আটক করে।
অপহরনকৃত স্কুল ছাত্রী ও আটকৃত ৩ জনের জবানবন্দীতে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য । দীর্ঘ দিন থেকে মকিমাবাদ এলাকার একটি ভাড়াটিয়া বাসায় থাকত স্কুল ছাত্রী ও তারই প্রেমিক সবুজ সৃত্রধর । তাদের সম্পর্কের আবেগীয় রেসের ফলে বুধবার সকালে ঐ স্কুল ছাত্রী ৪ ভরি স্বর্ন নিয়ে হিন্দু প্রেমিক সবুজের সাথে পাড়ি দেয় কোর্ট বিয়ে উদ্দেশে। এ দুইজনকে সহযোগিতা করে পাশ্ববর্তী বাড়ির পিংকি আক্তার। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় চাঁদপুর ওয়াল্ছে এলাকা থেকে প্রেমিক সবুজ প্রেমিকাকে একা ফেলে পালিয়ে যায়। এ সময় পিংকি তার নিকটবর্তী লোক শাওন সাহার কাছে মেয়েটিকে ও তার সাথে থাকা কিছু স্বর্ন দিয়ে চলে আসে। এ সুযোগে মেয়েটিকে নিয়ে শাওন নারায়নগঞ্জে চলে যায়। পরের দিন পুলিশের ভয়ে মেয়েটিকে নিয়ে থানায় হাজির হয়।
পরে আটককৃত ৩ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের ৭ ধারায় মামলা দায়ের হয় যার মামলা নং ১০ । পরে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয় ।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ-আলম বলেন, আমরা অপহরণের ঘটনায় তাদেরকে আটক করেছি, বাকিটা নির্ভর করবে আদালতের উপর।