রাজশাহীতে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও পহেলা ফাল্গুন পালনে সব ধরনের ফুলর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। একই দিনে দুই দিবস হওয়ায় এবার ফুলের দাম আকাশ ছোঁয়া। একটি গোলাপ যেন সোনার হরিণ। পহেলা ফাল্গুন পালনের গাদা ফুলেও ধরেছে আগুন। তারপর বিশ্ব ভালবাসা দিবস ও পহেলা ফাল্গুন পালনের জন্য যুবক, যুবতি, তরুণ-তরুণীরাসহ সব বয়সের মানুষ ছুটছেন ফুলের দোকানে।
বাধ সেজেছে ফুলের দাম। পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে প্রতিবছর রাজশাহীতে দেড় থেকে দুই কোটি টাকার ফুলের ব্যবসা হয়। এই দুটি দিবসকে কেন্দ্র করে রাজশাহী স্থায়ী ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বসতো মৌসুমি ফুল ব্যবসায়ীরা। রাজশাহীতে অন্তত ১শ’র বেশি স্থানে ফুল বিক্রি হতো। কিন্তু এবার মৌসুমি ফুল ব্যবসায়ী নেই। যারা দীর্ঘদিন থেকে এ ব্যবসা ধরে রেখেছেন কেবল তারাই এবার ফুল বিক্রি করছেন। নগরীর সাহেব বাজার এলাকায় হাতে গোনা ১৫ থেকে ২০ দোকানে চলছে ফুল বেচা বিক্রি। প্রতি বছর ফুলের রমরমা ব্যবসা হলেও এবার ক্রেতা শূন্য। তার ওপর ফুলের দাম আকাশ ছোঁয়া।
অন্য বছরের মতই এবারও ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও পহেলা ফাল্গুন উপলক্ষে নানা ধরনের ফুল আমদানি করেছেন ব্যবসায়ীরা। দোকানে শোভা পাচ্ছে রং এর বাহারি ফুল। তরতাজা গোলাপ, জারবেরা, গাঁদা, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জিপসি, রডস্টিক, কেলেনডোলা, চন্দ্রমল্লিকাসহ বিভিন্ন ধরনের ফুল ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে চারদিক। সাথে দেশি বিদেশী ফুলে ভরে আছে ব্যবসায়ীদের দোকান। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় প্রত্যাশা অনুযায়ী ক্রেতা নেই। বাহারি ফুল দোকানে থাকলেও ক্রেতার অভাবে তা বিক্রি হচ্ছে না। ফুলের দাম শুনেই ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।
এবার একটি লাল গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০টাকা, সাদা গোলাপ ৯০ থেকে ১শ’ টাকায়, জারবেরা বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০টাকা পিস, রজনীগন্ধা বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা পিস, গ্লাডিওলাস ২৫ থেকে ৩০টাকা, মাথার ব্যান্ড ১৫০ থেকে ২শ’ টাকা, গাদা ফুল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০টাকা শ’, এছাড়াও প্রকার ভেদে অন্যান্য ফুল বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।
অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন করোনার কারণে উৎপাদন কম। তাই এবার ফুলের দাম বেশি। তার ওপর স্কুল কলেজ বন্ধ। ক্রেতা না থাকায় খুব একটা ফুল বিক্রি হচ্ছে না। ফলে লাভের আশাও করতে পারছেন না তারা। এখন আমদানি করা সব ফুল বিক্রি হবে কি না এ নিয়ে চিন্তিত।