হাজীগঞ্জে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিক সমাবেশ
মানবকল্যাণের জন্যে নিজেকে উৎসর্গ করে দিয়েছি॥ জনগণই আমার একমাত্র আপনজন
মোহাম্মদ কামাল হোসেন
চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) নির্বাচনী এলাকার সাংসদ মেজর অব.রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম বলেন, মানবকল্যাণের জন্যে নিজেকে উৎসর্গ করে দিয়েছি। মানুষের কল্যাণকর যে কোন কাজ করাটাই আমার জন্য আনন্দের। আমি মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যে কাজ করে যাবো। সাংবাদিকদের উদ্যেশ্যে বলেন আমি নিজেও একজন সাংবাদিক ও লেখক। আমি সাংবাদিকদের সুখে-দুখে পাশে থাকার চেষ্ঠা করি। সাংবাদিকরা আমার বন্ধু। আমার যে কোন কাজে সাংবাদিকরা আমার পাশে থেকে সব সময় সহযোগিতা করে আসছে। এটা আমি ভালো করে জানি। আমার মা-বাবা মারা গেছে। আমার স্ত্রীও মারা গেছে। আমি এখন ভারমুক্ত একজন মানুষ। এখন জনগণই আমার একমাত্র আপনজন। আমি রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণের জন্যে। রাজনীতির বাহিরেও আমি রাজনীতি করি। সে রাজনীতি হলো দল-মতের কোন ভেদাবেদ করি না। আমি মানবসেবার ব্রত হওয়া একজন মানুষ।
শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্ব মানচিত্রের সকল দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। আপনারা সব সময় যে কোন সংবাদের ফলোআপ করবেন। ফলোআপ নিউজ করলে তখন কাজটা দ্রুত হয়। তা না হলে ঐ সংবাদটা হারিয়ে যায় নানা ধরণের কাজের চাপে। দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রতিটা সময় কাজ থাকে কিন্তু সাংবাদিকরা ফলোআপ করলে দায়িত্বপ্রাপ্তদের মনে পড়ে। দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। এই উন্নয়ন কার্যক্রমের অন্যতম অংশিদার সাংবাদিকরা। তাদের পজেটিভ লেখনির মাধ্যমে বহিঃবিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি যেমন উজ্জ্বল হচ্ছে। তেমনি দেশ ও জাতির পক্ষে বিভিন্ন দিক তুলে ধরার মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম গতিশীল করছে। মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরার আহবান জানান এবং সেই সাথে সাংবাদিকদের সংগ্রামী জীবনের মূল্যায়ন চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সৃ-দৃষ্টি কামনা করেন।
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত তার বক্তব্যে চাঁদপুর প্রেসক্লা, হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাব ও শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের জায়গা ও ভবন নির্মাণের দাবীর প্রেক্ষিতে মেজর অব রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম বলেন হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের জন্য ভূমিসহ ভবন এবং চাঁদপুর প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুম স্থাপনে করে দেওয়ার আশ^াস দেন।
শুক্রবার দিনব্যাপি চাঁদপুর প্রেসক্লাবের বার্ষিক সাংবাদিক সমাবেশ হাজীগঞ্জ মকিম উদ্দিন শপিং সেন্টারের ফুডলাভার্সে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিক নেতারা বলেন আমরা চাঁদপুরবাসী একজন ভালো এমপি মেজর অব রফিকুল ইসলামকে পেয়েছি। শুধু তাই না একটি মানচিত্রও পেয়েছি। ইতিহাসের খাতায় এ মানচিত্রের নাম থাকবে। আমরা সাংবাদিকরাও আপনার পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন।
এছাড়াও হাজীগঞ্জ বড় মসজিদের মোতাওয়াল্লী ড. আলমগীর কবির পাওয়ারীর বিভিন্ন কর্মকান্ডের প্রশসংসা করে তারা বলেন এ রকম একজন মানুষ চাঁদপুর শহরে জন্মালে আমাদের চাঁদপুরের মানুষের অনেক উপকার হতো। তার পরেও হাজীগঞ্জ থেকে চাঁদপুরের সুন্দর্য্য নিয়ে চিন্তা করার জন্য আলমগীর কবির পাটওয়ারীর প্রতি অনুরোধ করেন।
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারীর সভা প্রধানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জ সার্কেল) মো. সোহেল মাহমুদ, হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ড. মো. আলমগীর কবির পাটওয়ারী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আহম্মদ খসরু, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের পক্ষে সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত ও সিনিয়র সদস্য মুনির চৌধুরী, হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের পক্ষে সভাপতি গাজী সালাউদ্দিন, হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাবেক সভাপতি ও আমার কণ্ঠ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ কামাল হোসেন,সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন আল আজাদ, সাধারণ সম্পাদক এনায়েত মজুমদার।
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশার উপস্থাপনায় হাজীগঞ্জের ফুড লাভার্সে দিনব্যাপী আয়োজিত সমাবেশে জেলার আট উপজেলা থেকে আগত প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দসহ প্রায় দুই শতাধিক সংবাদকর্মী যোগদান ও তাদেরকে দুপরের খাবার ব্যবস্থা করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রথম সেশনে অতিথিদের বক্তব্য এবং দ্বিতীয় সেশনে সংবাদপত্র এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন বিষয়ের আলোচনা করা হয়।