অনৈতিক উপায়ে অভ্যন্তরীণ রুটের আকাশপথে বিমান অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে বলে অভিযোগ করেছে বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোর সংগঠন এভিয়েশন অপারেটরস এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (এওএবি)।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ডেইলি স্টার ভবনে ‘এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশ: প্রসপেক্টস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এ অভিযোগ তোলা হয়।
এওএবি’র সেক্রেটারি জেনারেল ও নভো এয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, বিমান ডমেস্টিকে লস দিয়ে অপারেট করে। লসের কারণে বিমানের বোর্ড মিটিংয়ে ২০০৭ সালে সিদ্ধান্ত হয় তারা ডমেস্টিকে অপারেট করবে না। কিন্তু ২০১৫ সালে আবার বিমান এলো, কিন্তু লসের সেই ট্রেন্ড পরিবর্তন হয়নি। এখন আমার যে কস্ট অফ অপারেশন, তার অনেক কমে সিট বিক্রি করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিমান সরকার থেকে সাপোর্ট পাচ্ছে। তারা হয়তো টিকে থাকবে। কিন্তু আমরা বেসরকারি এয়ারলাইনস কিভাবে টিকে থাকব? সাময়িক হয়তো থাকব, কিন্তু লং রানে আমরা থাকব না। এর আগে যেমন ৮টা এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে গেছে আমাদেরটাও বন্ধ হয়ে যাবে।
নভো এয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, আমরা যখন দেখলাম, বিমান প্রতি যাত্রীতে ২ হাজার টাকা লস দিয়ে ডমেস্টিক অপারেট করছে তখন প্রতিমন্ত্রীকে বললাম। জানালাম যে এভাবে তো আমাদের পক্ষে চলা সম্ভব না। আমরা প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প উপদেষ্টাকেও বিষয়টি বললাম। তিনি এটা প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে সমাধান করতে বললেন।‘
অভিযোগ করে তিনি বলেন, সমস্যার সমাধানে আমরা একটি বৈঠকে বসলাম, সেখানে বিমানের এমডি ছিলেন। সেখানে ভাড়া সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত হলেও বিমান তা শোনেনি।
বর্তমানে অভ্যন্তরীণ বাজারে দেশি এয়ারলাইনসগুলোর মধ্যে বেসরকারি দুটি এয়ারলাইন্স নভো এয়ার ও ইউএসবাংলার রয়েছে ৮০ ভাগ ক্যাপাসিটি। আর বাকি ২০ ভাগ ক্যাপাসিটি বিমানের।