বর্ষার সময়ে উপকার ও অপকার দুটোই পাওয়া যায়। বর্ষার সময় প্রকৃতি যেন প্রেমিক হয়ে উঠে। চারদিকে রিমঝিম বৃষ্টি, যা মনকে ছুঁয়ে যায়। ভ্যাপসা গরমের পর বর্ষায় হাফ ছেড়ে বাঁচে মানুষ৷ স্বস্তিদায়ক বর্ষা আসাতে স্বভাবতই খুশি মনে থাকে সবাই৷ কিন্তু চুলের হাল একদমই ভালো থাকে না৷ এ সময়ই সবচেয়ে বেশি চুল ওঠে ও চুলে বিভিন্নরকম সমস্যা দেখা দেয়। যেমন- চুল পড়া, খুসকি, স্ক্যাল্পে ঘামাচি ইত্যাদি৷ তাই এ সব সমস্যা থেকে বাঁচার উপায় জানা দরকার।
বর্ষায় চুলের যত্ন, চুল রক্ষার কিছু টিপস-
১) বৃষ্টির পানিতে চুল ভেজার হাত থেকে সতর্ক থাকুন। চুল ভিজে গেলে সঙ্গে সঙ্গে শুকানোর ব্যবস্থা করুন। চুল ভেজা বেশিক্ষণ রাখবেন না।
২) বর্ষার বৃষ্টিতে চুল ভিজে গেলে অবশ্যই ঘরে এসে সঙ্গে সঙ্গে শ্যাম্পু করে ফেলুন। চুল ভালো করে শুকিয়ে হালকা নারকেল তেল গরম করে চুলে ম্যসাজ করুন।
৩) এই সময় আবহাওয়া আর্দ্র থাকার ফলে চুলে নানা রকমের সমস্যা দেখা দেয়। খুসকি হয় এই সময় বেশি। তাই চুল সব সময় পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন। সপ্তাহে কম করে তিন বার লেবু মেশানো তেল মাথায় ম্যাসাজ করুন।
৪) বর্ষার সিজনে চুল পড়ে বেশি। তাই চুল পড়া কমাতে চুলে যে কোনও স্টাইলিং করা বন্ধ রাখুন। এই সময়টাতে আর্দ্র আবহাওয়ার কারণে খুব সহজে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে তাই চুলে যে কোনও কেমিক্যাল প্রোডাক্ট বা হিট সহ্য করার ক্ষমতা কম থাকে।
৫) বর্ষাকালে চুল বেশি পড়ে তাই ভেজা চুল আঁচড়াবেন না। চুল খুব দ্রুত শুকিয়ে ফেলার চেষ্টা করবেন আর মোটা ফাকা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করবেন। কখনোই অন্যের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াবেন না অথবা নিজের চিরুনি কাউকে ব্যবহার করতে দিবেন না, এতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হয়ে স্কাল্পে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিবে।
৬) বর্ষার দিনে চুল ভালো রাখতে বেশি করে প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে। আমলকি প্রতিদিন খেতে পারলে চুলের গোঁড়া মজবুত হবে। ফল এবং কাঁচা সবজির সালাদ বেশি করে খেতে পারলে চুলের গ্রোথ ভালো হবে। সর্বশেষ পানি পান করুন যত বেশি সম্ভব হয় তত।
৭) চুলকে রক্ষা করার আরেকটি উপায় হল চুল পুরোপুরি ঢেকে ফেলা। সেটা হতে পারে কোনো হ্যাট বা স্কার্ফ দিয়ে। এতে করে চুল সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মি থেকে রক্ষা পাবে। সঙ্গে চুলে ময়েশ্চার ধরে রাখতেও সহায়তা করবে। হ্যাট বা স্কার্ফ কিন্তু শুধু আপনার চুলকে রক্ষা করবে না বরং আপনাকে ফ্যাশনেবল দেখাতেও সাহায্য করবে।
৮) মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান। সেটা চুলের জন্য ভালো। ভেজা অবস্থায় মোটেও চুল আঁচড়াবেন না। তাহলে চুল আরও ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। শুকানোর পর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে আস্তে আস্তে চুল আঁচড়ে নিন।
৯) নারকেল তেল, অলিভ অয়েল বা অ্যাভোকাডো তেল, এর সবগুলোই চুলের জন্য খুবই উপকারী। চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ভালো করে তেল লাগান। সাধারণভাবে চুল ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন চুল অনেক নরম মনে হবে কিন্তু চিটচিটে দেখাবে না।
এসইউএ/এসি