অবশেষে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসই সত্যি হলো। আবহাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল চলতি মাসে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে।
মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।
আজ সোমবার সকাল ৯টায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ-দক্ষিণ উড়িষ্যা উপকূলের অদূরবর্তী পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসার এলাকায় একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। এটি উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। লঘুচাপটির বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
সোমবার সকাল ৬টা থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ফেনীতে, ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতও হয়েছে ফেনী ও চট্টগ্রামে, ২৮ মিলিমিটার। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।