চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে প্রবাসীর বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা ও তার স্ত্রীর সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনায় এলাকাবাসীরা আন্তজেলার একজনকে আটক করে।
২৫ মে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পূর্ব মুহুর্তে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১১ নং চরদুখিয়া ইউনিয়নের হাওলাদার বাড়িতে ১১ টি মোটরসাইকেল নিয়ে ২৫/৩০ জনের একটি দল নিয়ে সৌদি প্রবাসী জাফর হাওলাদারের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট করে।
এ সময় ওই বাড়িতে কোন পুরুষ সদস্য না থাকায় জাফর হাওলাদারের স্ত্রী লিজা বেগমকে মারধর করে দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে তার হাতে থাকা ৬টি সোনার বালা ও গলায় থাকা একটি ২ ভরি ওজনের সোনার চেইন সহ প্রায় ১১ ভরি স্বর্নালংকার নিয়ে যায় বলে দাবি করেন লিজা বেগম।
এ সময় জাফর হাওলাদারের স্ত্রী লিজা বেগমের ডাক চিৎকারে আশে পাশের প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করে সুজন নামে একজনকে আটক করে। সে সময় বাকিরা ২ টি ইয়ামাহার এফ জেট, ১ টি সুজুকি জিক্সার ও ১টি টিভিএস কোম্পানির এফাসি সহ মোট ৪ টি মটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যায়।
ভুক্ত ভোগিরা জানায়, আমরা ৯৯৯ এ ফোন করলে ফরিদগঞ্জ থানায় এস আই আবদুর রাজ্জাকা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এসে আটকৃত সুজন ও তাদের রেখে যাওয়া ৪টি মোটর সাইকেল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
জানা যায়, আটক সুজনের বাড়ি লক্ষীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের মুন্সীবাড়ি।
এ ব্যাপারে প্রবাসী জাফর হাওলাদারের স্ত্রী লিজা বেগম বলেন, সন্ধ্যায় বাড়িতে আমি একা ছিলাম সে সময় হটাৎ ২৫/৩০ জনের অজ্ঞাত সন্ত্রাসবাহিনী আমাদের বাড়িতে হামলা করে আমার গলায় অস্ত্র ধরে আমার হাতে থাকা ৬টি সোনার বালা ও গলায় থাকা একটি ২ ভরি ওজনের সোনার চেইন জাহার ওজন প্রায় ১১ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান,সুজন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রামবাসী আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে, যাচাই বাচাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় একটি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।