ফরিদগঞ্জে পারিবারিক কলহের জের ধরে এক সন্তানের জননী শারমিন আক্তার (২০) আত্মহনন করেছে।
৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের খেজুর তলা এলাকার মুলাম বাড়ীর দেলায়ার হোসেন ছেলে সৌদি প্রবাসী মো. মহীন হোসেনের স্ত্রী শারমিন তার স্বামীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা কাটা কাটি করে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেছিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
গৃহবধূর শ্বশুর দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমার একমাত্র ছেলে ৪ বছর পূর্বে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল সুখেই চলছিল আমাদের সংসার, আমার ছেলের ঘরে ৩ বছরের একটি সন্তান রয়েছে হঠাৎ করে কি হল আমি কিছুই জানিনা।
তিনি আরও বলেন, রাতে আমি এবং আমার পরিবারে সকলে মিলে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি, রাত প্রায় দুইটার দিকে আমার নাতির চিৎকার শুনে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায় এবং রুমের দরজা খোলার জন্য আমার নাতি মাহিন খুব ধাক্কা-ধাক্কি করে ভেতর থেকে দরজা আটকানো থাকায় আমি আমার ছেলের বৌকে ডাকতে থাকি, ভেতর থেকে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে জানালা দিয়ে উকি দিয়ে দেখি রুমের ফ্যানের সঙ্গে বৌটা ঝুলে আছে।
এ বিষয়ে গৃহবধূর বাবা মানিক পাটওয়ারী জানান, আমার মেয়েকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন মেরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, আমরা সংবাদ পেয়ে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছি। এ ব্যাপারে অপমৃত্যু মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে।