তরুণী স্থানীয় স্কাই দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী। আর প্রেমিক মো. দিদার হোসেন মানিকগঞ্জ পোড়রা খান বাহাদুর কলেজের ডিগ্রি পরীক্ষার্থী। সে সুয়াপুর ইউনিয়নের ঈশাননগর এলাকা মো. আব্দুল খালেকের ছেলে।
বিয়ে করতে যাচ্ছেন প্রেমিক। বরযাত্রী নিয়ে রওয়ানা দেওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে প্রেমিকা এসে হাজির বরের বাড়িতে। অবস্থার বেগতিক বুঝতে পেরে বিয়ের পোশাকেই দৌড়ে পালালেন বর। এক হাতে বিষের বোতল ও আরেক হাতে কাফনের সাদা কাপড় নিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করে দেন ওই তরুণী।
মঙ্গলবার (৮ জুন) সন্ধ্যায় ঢাকার ধামরাই উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নের ঈশাননগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওই তরুণীর সঙ্গে একই এলাকার দিদার হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বিয়ের আশ্বাসও দিয়েছেন ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে। কিন্তু এখন সে তাকে বিয়ে না করে উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের ভালুম এলাকার এক তরুণীকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে প্রেমিকা একহাতে বিষের বোতল আর অপর হাতে কাফনের কাপড় নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে এসে হাজির হন।
বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করা ওই তরুণী শ্লোগান দেন ‘দাবি আমার একটাই স্বামী চাই, স্বামী চাই’। ‘হয় বিয়ে না হয় বিষপানে আত্মহত্যা হবে’। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন চলবে বলে জানান তিনি।
দিদারের পিতা আব্দুল খালেক বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে ওই মেয়র প্রেমের কথা জানলে অন্য মেয়ের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করতাম না। এখন ভেবে স্থির করতে পারছি না কী করব।
এ বিষয়ে ইউপি মেম্বার মো. জয়নাল আলী জানান, পরিস্থিতি খুবই জটিল হয়ে গেছে। সমঝোতা করার জন্য আমি চেষ্টা করছি। কীভাবে বিষয়টি মিটমাট করা যায় দেখছি।