মুখে মাস্ক না থাকলে পণ্য বিক্রি নয়
নিজস্ব প্রতিবেদক
মুখে মাস্ক না থাকলে পণ্য বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
সমিতি বলেছে, আজ রোববার (১ নভেম্বর) থেকে দেশের সব দোকানপাট, মার্কেট ও বিপণিবিতানে মাস্কহীন ক্রেতা-বিক্রেতাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এই কার্যক্রম ২০২১ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
আজ দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানায় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। তিন দফা দাবিতে সমিতি এই সংবাদ সম্মেলন করে।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, বিশ্বে দ্বিতীয় দফায় করোনার সংক্রমণ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে শীত মৌসুম আসন্ন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সবাইকে মাস্ক পরার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সামনে শীতে করোনার সংক্রমণ বাড়তে পারে, এমন আশঙ্কায় সরকার ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ নীতি বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ও সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে দোকান মালিকেরাও বলছেন, ‘এই মুহূর্তের ভ্যাকসিন, মাস্ক দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে নিন।’বিজ্ঞাপন
সারা দেশের দোকান মালিকদের মাস্কবিষয়ক সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানান হেলাল উদ্দিন।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির দাবিগুলো হলো দোকান মালিকদের জন্য ৫০ লাখ টাকা সীমা পর্যন্ত টার্নওভার ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখা, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ও ‘মাস্ক নেই, সেবা নেই’ শীর্ষক সচেতনতা কার্যক্রম বাড়ানো।
লিখিত বক্তব্যে হেলাল উদ্দিন বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ভ্যাট নিবন্ধন নেওয়ার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পক্ষ থেকে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হচ্ছে। এই মুহূর্তে করোনায় ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের বাধ্যতামূলক নিবন্ধনের চাপ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি নতুন আইনের বাধ্যবাধকতা হচ্ছে প্রতি মাসে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করা। না করলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা। এটা মানা কোনোভাবেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পক্ষে সম্ভব নয়।বিজ্ঞাপন
হেলাল উদ্দিন বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি প্রণোদনা থেকে তেমন কোনো সুবিধা পাননি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এখন বলা হচ্ছে, প্রণোদনা নিতে ট্রেড লাইসেন্স লাগবে। কিন্তু অসংখ্য ক্ষুদ্র ও অতি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পুঁজি ১০ থাকে ৫০ হাজার টাকা। তাঁরা কখনোই ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করেননি। কারণ, ট্রেড লাইসেন্স করতেই খরচ লাগে ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা। এই শর্ত মানা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পক্ষে সম্ভব না।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির মহাসচিব মো. জহিরুল হক ভূঁইয়া, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার রুহুল আমিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।