আমার কণ্ঠ রিপোর্ট-
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের স্ত্রী রোগ, প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন কনসালটেন্ট ডাঃ ফাতেমা বেগম তার ভিজিটের ৬০ টাকা কম দেওয়াতে রোগীর সামনেই টাকা ছুড়ে মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০ অক্টোবর সকাল ৯ টায় শহরের মাদ্রাসা রোডের মাছুমা আক্তার নামে এক রোগী গাইনী সমস্যার কারনে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের গাইনী বিশেষজ্ঞ ও কনসালটেন্ট ডাঃ ফাতেমা বেগমের হাসপাতালের সরকারি কোয়াটারের বাসভবনে শরনাপন্ন হন। এসময় তিনি রোগীনিকে দেখার পর ব্যবস্থা পত্র তার হাতে তুলে দেন। রোগী মাছুমা আক্তার ডাক্তারের ভিজিটের ৪শ’ টাকা তাকে প্রদান করে। ডাক্তার ফাতেমা বেগম এ টাকা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি রোগীকে বলেন, আমার ভিজিট ৫শ’ টাকা, এর কম দিলে হবে না। রোগী বেশ কিছুদিন পূর্বে এই ডাক্তারকেই ৪শ’ টাকা ভিজিট দিয়ে চিকিৎসা নেন। সেই প্রেক্ষিতে তিনি ৪শ’ টাকা ভেবে ছিলেন। এমনকি এ কথা ডাক্তারকেই বলা হয়। রোগীর কাছে সব মিলিয়ে ৪শ’ ৪০ টাকা ছিল। পরে এ ৪শ’ ৪০ টাকাই ডাক্তারকে দেয়। এতে ডাক্তার ক্ষিপ্ত হয়ে তার সামনেই টাকা ছুড়ে মারে। এমনকি অন্যান্য রোগীদের সামনে তাকে অপমান করে ৫শ’ টাকা নিয়ে আসতে বলে। রোগী বাসায় গিয়ে ঘটনাটি তার স্বামীকে জানান। পরে তার স্বামী ৫শ’ টাকা নিয়ে চেম্বারে ডাক্তারকে দিয়ে আসে।
এ বিষয়টি সংবাদকর্মীরা জানতে পেরে ডাক্তার ফাতেমা বেগমকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে ভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা দেন। ডাক্তার ফাতেমা বেগম চাঁদপুরে দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করছেন। সরকারি হাসপাতালে চাকুরী করার পরেও প্রতিদিন তিনি তার চেম্বারে বসে ৫শ’ টাকা ভিজিট নিয়ে ৪০-৫০ জন রোগী দেখেন। তাছাড়াও শহরের প্যাথলজি ব্যবস্থা পত্র থেকে কমিশন নেওয়া ও প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে সিজারিয়ান অপারেশন সহ বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে থাকে। এমনকি তার স্বামীও শহরের একজন নাম করা ডাক্তার। তাহলে তার বেঁচে থাকার জন্য কত টাকার প্রয়োজন? ডাক্তারী পেশা একটি মানব সেবা। তিনি কি আসলেই মানব সেবা করে যাচ্ছেন। নাকি নিজের সার্থ সিদ্ধি হাছিল করছেন এমনি প্রশ্ন সাধারণ রোগীদের ।