মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) জাকাত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেছেন আদালত।
আজ সোমবার (১১ জানুয়ারি) ঢাকার এক নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক সৈয়দা হোসনে আরা কারাগারে থাকা এ আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন। এর মধ্য দিয়ে মামলাটির বিচার কার্যক্রম শুরু হলো। একই সঙ্গে আদালত ১৭ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।
আজকে সকাল কাশিমপুর কারাগার থেকে সাঈদীকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাকে ফের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার অপর আসামিরা হলেন-ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফুল হক, মসজিদ কাউন্সিল ফর কমিউনিটি অ্যাডভান্সমেন্টের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, বন্ধুজন পরিষদের প্রধান সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ ইউনুস, ইসলামী সমাজ কল্যাণ কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ কাউন্সিলের সহকারী পরিচালক আব্দুল হক।
আসামিদের মধ্যে সাঈদী কারাগারে আছেন। আবুল কালাম আজাদ ও আব্দুল হক পলাতক। বাকি তিন আসামি জামিনে রয়েছেন।
সোমবার আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। দুদকের পক্ষে বিশেষ পিপি মোশাররফ হোসেন কাজল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আর্জি জানান। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের কাছে জানতে চান, তারা দোষী না নির্দোষ। এ সময় আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সাঈদীর নেতৃত্বে পিরোজপুর ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদ ছিল। তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জাকাত বোর্ডের অনুমোদন না নিয়ে অর্থ নিজ কর্মীদের মাঝে বণ্টন করেন। সাঈদী জাকাতের অর্থ নিজে কর্মীদের মাঝে বিতরণ এবং নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে পাওয়া যায়।
ওই ঘটনায় ২০১০ সালের ২৪ মে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক আইয়ুব আলী চৌধুরী জাকাতের ১ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি করেন। ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ গাজী ওয়াজেদ আলী অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু সাজা নিয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির সাঈদী কারাগারে রয়েছেন।