নওগাঁর মান্দা উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন এবং আপত্তিকর ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে এক কলেজছাত্রীকে একাধিকার ধর্ষণ এবং গর্ভপাত করানোর অভিযোগ উঠেছে চাচার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁর মান্দা উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের বিলদুবলা গ্রামে।
গত ২৬ মে তাকে ওই উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গর্ভপাত করায় নান্নু। অভিযুক্ত নাহিদ হাসান নান্নু ওই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত।
স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনার পর থেকে বখাটে নান্নু পলাতক। এছাড়া ওই ঘটনায় অসহায় কলেজছাত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে পরিবার। বর্তমানে ভুক্তভোগী ন্যায় বিচারের আসায় বিভিন্ন জনের কাছে যাচ্ছেন।
জানা যায়, নাহিদ হাসান নান্নু ও ওই কলেজছাত্রীর বাড়ি পাশাপাশি। সম্পর্কে চাচা হওয়ায় তার বাড়িতে অবাধে যাতায়াত ছিলো নান্নুর। এক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রলোভন এবং চাকুরির অজুহাত দেখিয়ে কিছুদিনের জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে যায় নান্নু। সেখানে দুই জনে স্বামী- স্ত্রী পরিচয়ে থাকত। সম্প্রতি করোনার কারণে তারা বাড়িতে ফিরে আসে। কিন্তু ঢাকায় থাকাকালীন নান্নু বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকার শারীরিক সম্পর্ক করায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ওই কলেজছাত্রী। ২৬ মে তাকে ওই উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গর্ভপাত করায় নান্নু।
ভুক্তভোগীর মা-বাবা বলেন, আমরা গরিব-অসহায় মানুষ। আমাদের মেয়ের সঙ্গে নান্নু চরম অন্যায় করেছে। আমরা তার সুষ্ঠু চাই।
এ বিষয়ে মান্দা থানার ওসি শাহিনুর রহমান বলেন, ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের কোনো ছাড় নেই। ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী অভিযোগ করেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।