আজ,
বৃহস্পতিবার , ১৪ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ৩০ কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দসকাল ৭:১৫
নোটিশ বোর্ড
সর্বশেষ
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ক্লুলেস হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটন ও প্রধান আসামী গ্রেফতার
চাঁদপুর জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ মিলন মাহমুদ বিপিএম-বার মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জনাব সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জনাব আসিফ মহিউদ্দীন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ও মামলা তদন্তকারী অফিসার পুলিশ পরিদর্শক জনাব এনামুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করিয়া চাঁদপুর সদর মডেল থানার ক্লুলেস হত্যা মামলার প্রধান আসামী মোঃ খোরশেদ আলম(২৭) পিতা- মৃত মোস্তফা ভুইয়া, সাং- শেফালী পাড়া, পোঃ নবীগঞ্জ, থানা- রামগঞ্জ, জেলা-লক্ষীপুরকে গ্রেফতার ও মামলার মূল রহস্য উদঘাটন করা হয়।
গত ২৩/০৬/২০২১খ্রিঃ তারিখ বিকাল অনুমান ০৩.০০ ঘটিকা হতে ২৪/০৬/২০২১ইং তারিখ দুপুর অনুমান ০২.০০ ঘটিকার মধ্যবর্তী সময়ে চাঁদপুর সদর থানাধীন নিউ ট্রাক রোড, খান বাড়ী সড়ক, তামান্না শারমিন ভিলা এর ৩য় তলার ভাড়াটিয়া রেহান উদ্দিন মিজি(৫৫) এর নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সংবাদ প্রাপ্তির পরপরই চাঁদপুর জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার মহোদয়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ও চাঁদপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ কে মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও প্রকৃত আসামীকে গ্রেফতার করার জন্য নির্দেশপ্রদান করেন। তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য সর্বাত্নক চেস্টা করা হয়। ইহা ছাড়াও ঘটনাস্থলে পিবিআই, সিআইডির সংশ্লিষ্ট অফিসারগণ উপস্থিত হন। পুলিশ সুপার মহোদয়ের সার্বিক নির্দেশনায় বিভিন্ন গোপন তথ্য ও জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে গত ৩০/০৬/২০২১ইং তারিখ বিকাল অনুমান ০৫.২০ ঘটিকার সময় চাঁদপুর সদর থানাধীন প্রফেসার পাড়া সাধন গাজীর মেস হতে আসামী খোরশেদ আলম(২৭) পিতা- মৃত মোস্তফা ভুইয়া, সাং- শেফালী পাড়া, পোঃ নবীগঞ্জ, থানা- রামগঞ্জ, জেলা-লক্ষীপুরকে গ্রেফতার করা হয়। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় আসামী ও মৃত ব্যাক্তির পূর্ব পরিচিত। তারা একসাথে বিভিন্ন জায়গায় জুয়া খেলত।
গত ২২/০৬/২০২১ইং তারিখ আসামী মোঃ খোরশেদ আলম(২৭) মামলার মৃত ব্যাক্তির বাসায় জুয়া খেলবে বলে প্রস্তাব দেয়। সে প্রস্তাব মতে মৃত রেহান উদ্দিন মিজি(৫৫) রাজী হয়। গত ২৩/০৬/২০২১ইং তারিখ বেলা ০২.২৫ ঘটিকার সময় আসামী খোরশেদ আলম(২৭) তাহার পরিকল্পনা অনুযায়ী তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ব্যবহার না করে চাঁদপুর থানাধীন ওয়ারলেছ মোড়ে গিয়ে গাড়ীর গ্যারেজের মিস্ত্রী জনৈক মোঃ রফিকুল ইসলাম(৩৩) এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিয়ে আসামী খোরশেদ আলম(২৭), মৃত রেহান উদ্দিন মিজি(৫৫) কে ফোন করলে মৃত ব্যাক্তি আসামীর ফোন পেয়ে সদর মডেল থানাস্থ ট্রাক রোডস্থ বটতলা মোড় এলাকায় এসে তারা দুই জন একত্রিত হয়। বটতলা মোড় হইতে মৃত রেহান উদ্দিন মিজি(৫৫) ও আসামী খোরশেদ আলম(২৭) একসঙ্গে মৃত ব্যাক্তির বাসায় যায়। পরবর্তীতে আসামীর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মৃত ব্যাক্তির ঘরে থাকা ধারালো লোহার দা দিয়া মৃত ব্যাক্তির মাথা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় উপর্যুপুরি আঘাত করে হত্যা করে এবং মামলার আলামত নষ্ট করার জন্য ঘরে থাকা জুয়া খেলার তাস কিছু রক্তমাখা কাপড় নিয়ে মৃত ব্যাক্তির বাসা তথা মামলার ঘটনাস্থল হতে বাহির হয়ে বর্নিত আলামত সমুহ বঙ্গবন্ধু সড়কস্থ মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের দক্ষিন পাশে চাঁদপুর-কুমিল্লা রেললাইন সংলগ্ন গুনরাজদী সাকিনের জঙ্গলে ফেলে দিয়ে তার নিজ বাড়ী লক্ষীপুরে পালিয়ে আত্মগোপন করে।
পরবর্তীতে গত ৩০/০৬/২০২১ইং তারিখ সে ফিরে আসে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অত্র থানাধীন প্রফেসার পাড়া সাধন গাজীর মেস থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে অদ্য ০১/০৭/২০২১ইং তারিখ অত্র থানাধীন বঙ্গবন্ধু সড়কস্থ মা ও শিশু হাসপাতালের দক্ষিন দিকে চাঁদপুর-কুমিল্লা রেললাইনের দক্ষিন পাশে জঙ্গলে অভিযান পরিচালনা করিয়া তার দেখানো মতে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে তার ফেলে দেওয়া মৃত ব্যাক্তির ব্যবহৃত একটি লুঙ্গি, একটি গেঞ্জি, তাস, একটি লাইটার, বেনসন সিগারেটের প্যাকেট ও আসামীর ব্যবহৃত একটি নীল রঙের মাস্ক উদ্ধার করা হয়।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।