চাঁদপুরের একটি হাসপাতালের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের দেবপুর গ্রামের হাকিম বেপারীর ছেলে এস.এম. শাহ আলম রবিন প্রবাসীর স্ত্রীসহ জনতার হাতে আটকের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, চাঁদপুরের বাবুরহাট এলাকার জেলা পরিষদ সংলগ্ন একটি বাসায় দির্ঘদিন যাবৎ সদর উপজেলার রঘুনাথপুর (তিন তাল গাছতলা) এলাকার দুদু মোল্লার ছেলে সৌদি প্রবাসী সুলতান মোল্লার স্ত্রী রাবেয়া আক্তার (২৪) কে নিয়ে বাসা ভাড়া করে অবৈধ ভাবে বসবাস করে আসছে এস.এম. শাহ আলম রবিন।
এ সংবাদ জানতে পেরে রবিনের প্রথম স্ত্রী দুই সন্তানের জননী সুলতানা আক্তার সেতু ১২ এপ্রিল সোমবার বিকাল ৩ টার দিকে ওই বাসার সামনে যান। বাসায় প্রবাসীর স্ত্রীসহ রবিন অবস্থানের খবর নিশ্চিত হয়ে আশপাশের লোকজনকে অবহিত করেন। এ সময় এলাকার লোকজন হাতেনাতে রবিনকে এক সন্তানের জননী প্রবাসীর স্ত্রী রাবেয়াসহ আটক করেন।
খবর পেয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার এএসআই সেলিম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রবিন ও রাবেয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে আছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় সাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে রবিনের প্রথম স্ত্রী সুলতানা আক্তার সেতু জানান, আমার স্বামী রবিন নারী লোভী। আমাদের বিয়ের ২-৩ বছর পর থেকেই নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িয়ে পরে। সে হাসপাতালে দায়িত্বে থাকাবস্থায় বহু নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে এবং বহু নারীর সাথে তার আপত্তিকর ছবি রয়েছে। যার প্রমাণ আমার কাছে আছে। এ সব বিষয়ে তার সাথে আমার বহুবার বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হলে সে বহুবার আমাকে মারধরও করে। তার এ অবৈধ কর্মকাণ্ড নিয়ে উভয় পরিবারের একাধিক বৈঠক হওয়া শর্তেও সে পরিবর্তন হয়নি।
সেতু আরো জানায়, গত কয়েক মাস ধরে আমি লোকমুখে শুনে আসছি সে শহরে একাধিক বাসায় অন্য নারী নিয়ে অবৈধভাবে বসবাস করে আসছে। এরই সূত্র ধরে ১২ এপ্রিল সোমবার বিকাল ৩ টার সময় বাবুরহাট এলাকায় জেল পরিষদ সংলগ্ন একটি বাসায় রবিন ও প্রবাসীর স্ত্রী ১ সন্তানের জননী রাবেয় আক্তার নামে এক মহিলাকে হাতেনাতে ধরি। পরে পুলিশ রবিন ও রাবেয়াকে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে এএসআই সেলিম জানান, অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জনতার হাতে আটকের ঘটনাটি জানতে পেরে আমি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে তার স্ত্রী সুলতানা আক্তার সেতু জানায়, তার স্বামী রাবেয়া নামে এক মহিলাকে নিয়ে অবৈধভাবে বাসা ভাড়া করে বসবাস করছেন।
তবে রবিন দাবী করেন রাবেয়া তার ২য় স্ত্রী। গত ১৪ মাস আগে তাকে বিয়ে করেছেন। বিবাহের কোন প্রমানপত্র দেখাতে পারেন নি। সেগুলো আনার জন্য পরিবারের লোকজনকে বলা হয়েছে।