প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়ার কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলাম। আমাদের লক্ষ্য— কোনো ঘর অন্ধকার থাকবে না। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সবার ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। আলোর পথে যাত্রা সফল হয়েছে।
সোমবার বাংলাদেশ-চীন পাওয়ার কোম্পানির (প্রাইভেট) নির্মিত ‘পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় মুজিববর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, রমজান ও ঈদ উপলক্ষ্যে ১৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রকে উপহার হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আলোর পথে উন্নয়ন-সমৃদ্ধির পথে আমাদের এই যাত্রা কেউ দমাতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা অর্জনের অনেক আগেই এ অঞ্চলে বিদ্যুতায়নের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে অনুধাবন করেছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে বন্ধ শিল্প কারখানাগুলো চালু করার উদ্যোগ নেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমরা সরকার গঠন করার পর বিদ্যুৎ পেয়েছিলাম ১৬০০ মেগাওয়াট, ২০০০-২০০১ অর্থবছরে তা ৪৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছিলাম। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের মাধ্যমে ৫৪ হাজার ৪৮৯ কিলোমিটার বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন নির্মাণ করে ১৩ হাজার ৭১৩টি গ্রামকে বিদ্যুতায়িত করি এবং আরও ৩৪ হাজার গ্রামকে বিদ্যুতায়িত করার পরিকল্পনা নিই। আমরা ৩২ হাজার নতুন সেচপাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দিই।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে সরকারে এসে আমরা বিদ্যুৎ পেয়েছি মাত্র ৩,২৬৭ মেগাওয়াট। বর্তমানে দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫,৫১৪ মেগাওয়াট। ১৩ বছরে ৩০,৬৬৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৫৬টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। এ সময়ে আমদানিসহ ১৯,৬২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করেছি ও ১৪৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করেছি।
তিনি বলেন, পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটি এখন পর্যন্ত স্থাপিত দেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ১৩তম আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহারকারী দেশ। এই কেন্দ্রে জ্বালানি সাশ্রয়ী পরিবেশবান্ধব ক্লিন কোল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত ১৩ বছরে গণতান্ত্রিক যাত্রা অব্যাহত আছে, ঝড়ঝাপটা যে আসেনি, তা কিন্তু নয়। সেগুলো আমরা মোকাবিলা করেছি। মানুষের সব চাহিদা পূরণে কাজ করছি।