মফিজুল ইসলাম বাবুল,কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার গোহট দক্ষিন, আশ্রাফপুর, কড়ইয়া ও গোহট উত্তর ইউনিয়নে টিউবওয়েল, কৃষি সেচের মোটর, মসজিদের মাইক-মেশিন, অটোরিক্সা সহ বিভিন্ন মালামাল সম্প্রতি থেকে চুরির হিড়িক পড়েছে। জানা যায়, গত শুক্রবার (৬ জানুয়ারী) গভীর রাতে কচুয়া থানা পুলিশের এসআই মোশারফ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আশ্রাফপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের আশ্রাফপুর গ্রামের পাচুর বাড়ি সংলগ্ন কে আই ডি পি অফিসের সামনে থেকে পরিত্যক্ত একটি সিএনজিতে ৩টি টিউবওয়েল সহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
সম্প্রতি গোহট দক্ষিন ইউনিয়নের গোহট গ্রামের চৌধুরী বাড়ির সোহেল চৌধুরীর হাইড্রোলিক গাড়ির ব্যাটারী, হাজী বাড়ির হাজী সৈয়দ আহমেদের সেচ চালিত ৪টি মোটর, হাজী সৈয়দ আহমেদের পাঞ্জেগানা মসজিদের মাইক-মেশিন, টিউবওয়েল ও তার ছেলে আব্দুল হাকিমের সিএনজির ব্যাটারী চুরি করে নিয়ে যায়। এছাড়াও গোহট গ্রামের জসিম উদ্দীনের নতুন অটোরিক্সা, জমিসের অটোরিক্সা, জনকল্যান সংঘের ব্যবহৃত টিউবওয়েল, কাশিমের টিউবওয়েল ও বিভিন্ন বাড়িতে ঢুকে দামী মোবাইল সেট সহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।
আশ্রাফপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো: মাহাবুব আলম জানান, চুরিকৃত মালামাল উদ্ধারের বিষয়টি আমি অবগত হয়ে এসআই মোশারফকে জানিয়েছি যে, সিএনজি ড্রাইভার সহ চোরচক্র সনাক্ত ছাড়া আমার এলাকায় চুরি হওয়া মালামাল কেউ ফেরত নেবে না।
এসআই মোশারফ হোসেন জানান, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালালে গাড়িটি রেখে ড্রাইভার ও চোরচক্র পালিয়ে যায় এবং পরিত্যক্ত অবস্থায় সিএনজি ও ৩টি টিউবওয়েল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। তিনি আরও জানান, আশ্রাফপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরু মিয়ার মাধ্যমে চুরি হওয়া ২টি টিউবওয়েল সনাক্ত করে মালিককে বুঝিয়ে দেয়া হয়।
কচুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল জানান, আমরা সিএনজি ড্রাইভার-মালিককে সনাক্ত করার চেষ্টা করছি। এদেরকে সনাক্ত করতে পারলে চোরচক্রটি ধরা যাবে। আমরা চোরচক্র সনাক্ত করার জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছি।
চোর সনাক্ত না করে দু’টি টিউবওয়েল ফেরত পাওয়ায় জনমনে বিভিন্ন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।