মোহাম্মদ কামাল হোসেন
দুই শতাধিক ট্রেন যাত্রীর জীবন বাঁচানো আবুল খায়ের নিজের জীবন বাঁচাতে পারেননি অর্থে অভাবে। চলে যেতে হয়েছে নিরবে পরকালে। কেউ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। হতাশা ও অপ্রাপ্তি থেকেই আবুল খায়েরকে পরকালে পাড়ি জমাতে হয়েছে ২০২০ সালের ২০জুন। হঠাৎ করে নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে মৃত্যু বরণ করেন। রেখে গেছেন দুস্ত্রী ও ৫সন্তান। আর্থিক সংকটে সন্তানরা খেয়ে না খেয়ে জীবন যাপন করছে।
একটি অসাধারণ গল্প
১৩ জুলাই ১৯৯৬ সালের দুশতাধিক ট্রেন যাত্রীর জীবন বাঁচানো ঐতিহাসিক দিন। প্রতিদিনের মতো খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে আবুল খায়ের ঘর থেকে বের হয়ে যায় হাঁসের জন্য শামুক কুড়াতে। রেল লাইনের পাড় ধরে হাঁটতে হাঁটতে খায়ের চলে যায় প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে রেল লাইনের কাছে। হঠাৎ তার চোখে পড়ে পশ্চিম পাশের বেশ খানিকটা ট্রেন লাইন ভাঙা। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় কেঁপে উঠে তার মন, চিৎকার করতে থাকে কে কই আছেন এইদিকে আহেন, ট্রেন লাইন ভাইঙ্গা গেছে, একসিডেন হইবো, কিন্তু এই কাক ডাকা ভোরে মাত্র নয় বছর বয়সী আবুল খায়েরের এ চিৎকার ভেদ করতে পারে না তন্দ্রাচ্ছন্ন মানুষের চেতনাকে। আশপাশে তাকিয়ে আবুল খায়ের দেখতে পায় না কোন লোকজন। আবারও চিৎকার করতে থাকে। কে আছেন এদিকে আহেন, ট্রেন লাইন ভাঙছে, একসিডেন হইবো। কিন্তু কোন লোকজনের সাড়া পায় না খায়ের। ট্রেন লাইনে কান পাতে সে, ট্রেন আসার শব্দ শুনতে পায়। একটি ট্রেন আসছে। শিশু আবুল খায়ের দুর্ঘটনা থেকে কিভাবে ট্রেনটাকে বাঁচানো যায় সেই বুদ্ধি আঁটতে থাকে ভেতরে ভেতরে। হঠাৎ মনে পড়ে ল াল কাপড় ওড়ালে ট্রেন থামানো যায়। কিন্তু এই সকালে লাল কাপড় সে পাবে কোথায়? তবুও এক টুকরা লাল কাপড় আবুল খায়েরকে খুঁজে বের করতেই হবে। এদিক সেদিক ছোটাছুটি করতে থাকে সে। এক সময় কোথাও কোন লাল কাপড় না পেয়ে দৌড়ে যায় নিজেদের বাড়িতে। বড় চাচীর লাল পেটিকোট নিয়ে ছুটে আসে রেল লাইনের কাছে। একটি লাঠির মাথায় সেই পেটিকোটটি ঝুলিয়ে আবুল খায়ের দৌড়াতে থাকে। জীবনের ঝুকি নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে প্রচন্ড গতিতে আসা ট্রেনের দিকে। হাতে তার লাল নিশানা। যেভাবেই হোক ট্রেন থামাতে হবে। খায়ের ভুলে যায় তার নিজের কথা। তখন ব্যক্তিগত কোন দুর্ঘটনার কথা তার মাথায় কাজ করেনি এক মুহূর্তের জন্যও। এক সময় শিশু খায়েরের লাল নিশানা দৃষ্টি কাড়ে ট্রেন চালকের। ধীরে ধীরে থামতে থাকে ট্রেন। ভাঙা লাইনের অল্প একটু আগে এসে পুরোপুরি থেমে যায়। ট্রেন থেকে নেমে আসে ড্রাইভার তার লোকজন নিয়ে। অগ্নিমূর্তি হয়ে খায়েরকে জিজ্ঞেস করে- অই ট্রেন থামাইছ্স কেন? একটু অবাক হয় আবুল খায়ের। তার পর ড্রাইভারকে হাত ধরে নিয়ে গিয়ে দেখায় ভাঙা রেল লাইন। ড্রাইভারের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। সে বুঝতে পারে কতো বড় দুর্ঘটনা থেকে প্রায় দুই হাজার মানুষের জীবন বাঁচালো এই শিশুর লাল নিশানের কারণে। ভয়াবহ বিপদের হাত থেকে বেঁচে গিয়ে আবেগ আফলুত হয়ে পড়ে ড্রাইভার। বুকে জাড়িয়ে ধরে আবুল খায়েরকে। চুমু দিয়ে আদর করতে থাকে। তার পর একে একে নেমে আসে ট্রেনের যাত্রীরা। পুরো ঘটনা শুনে তারা আবুল খায়েরকে দিতে চায় টাকা, সোনাদানাসহ মূল্যবান সব উপহার দিতে চায় খায়েরকে। কিন্তু সে গ্রহন করে না সেসব। বরং অভিমানী কন্ঠে তাদের বলে দেয়- আমি কোন কিছু পাওয়ার লইগ্যা ট্রেন থামাই নাই। মাইনষের জান বাঁচানোর লাইগ্যা থামাইছি। তারপরেও উপস্থিত যাত্রীরা অনেকেই জানতে চায় উপহার হিসেবে তার কি পছন্দ। আবুল খায়ের বৈষয়িক কোন উপহার না চেয়ে সবার কাছ থেকে দোয়া চায়। তবুও অনেকেই নিজের ঠিকানা দিয়ে আসে- খায়ের যেন যে কোন প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারে।
চাঁদপুর ষ্টেশন থেকে মিস্ত্রি এসে প্রায় তিন ঘন্টা ধরে ঠিক করে সেই ট্রেন লাইন। তারপর আবারো গন্তব্যের দিকে ছুটে চলে আন্তঃনগর মেঘনা এক্সরপ্রস। কু ঝিক ঝিক… কু ঝিক ঝিক।
এরপর অনেক দুঃখে কষ্টে অনাহারে দারিদ্র্যে কেটেছে খায়েরের দিন কিন্তু একজন মানুষের সাথেও সে যোগাযোগ করেনি। অভিমানী খায়ের নিজের কষ্টকে নিজেই ধারন করে একা একা পথ চলেছে। জীবনের সাথে যুদ্ধ করেছে অবিরাম।
এর পরের গল্পটা একেবারেই গতানুগতিক। শুরু হয় আবুল খায়েরকে নিয়ে মাতামাতি। পত্র-পত্রিকায় নানা রকম ফিচার রিপোটিং হয় আবুল খায়েরকে নিয়ে । ফলাও করে তার চবি ছাপা হয়। বিভিন্ন জায়গায় নানা রকম অনুষ্ঠান শুরু হয় খায়েরকে নিয়ে। হাজীগঞ্জ ট্রেন ষ্টেশন থেকে শুরু করে হোটেল শেরাটন পর্যন্ত নানা জায়গায় শিশু আবুল খায়ের সম্বর্ধনা দেয়া হয়। রোটারিয়ান ক্লাব, শিশু একাডেমি, কুমিল্লা যাদুঘর, টাউন হল কুমিল্লা এরকম নানা জায়গা থেকে দেয়া হয় সার্টিফিকেট।
মেডেলসহ হিরো ফর টুডে এবং বীর শিশু খেতাব। এছাড়া আবুল খায়ের দুটি বিদেশি সংস্থা থেকে পেয়েছে পাঁচশ ডলার এবং তিনশ ডলার। বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে আড়াই হাজার টাকা আর একটি সার্টিফিকেট। রোটারিয়ান ক্লাব থেকে প্রতি মাসে খায়েরকে ৫০০ টাকা দেয়া হবে বলে ঘোষনা দেয়া হয় এবং নিয়মিত এক বছর দেওয়া হয়। পরে খায়েরের চাচা তাকে লুকিয়ে রেখে নানা রকম জটিলাতার সৃষ্টি করে। বন্ধ হয়ে যায় খায়েরর এই শেষ সাহায্য টুকুও।
২০০০সালে এএফপির তৎকালীন সাংবাদিক নাদিম কাদের খায়েরকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। সুরভি এনজিও স্কুলে ভার্তি করে দেন খায়েরকে। তখন স্কুল কর্তৃপক্ষ বলেছে বেতন, খাওয়া থাকা সব কিছুুর দায়িত্বই তাদের। কিন্তু দু’মাস যেতে না যেতেই বদলে যায় কর্তৃপক্ষের চেহারা। তারা খায়েরের কাছে বেতন দাবি করে। প্রতি মাসে থাকা খাওয়া আর পাড়াশোনার খরচ হিসেবে চার হাজার টাকা চায়। দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া খায়েরের পরিবার এই খরচ চালাতে ব্যর্থ হয়। এক সময় খায়ের পড়াশোনা বাদ দিয়ে চলে যায় গ্রামের বাড়িতে । চার ভই দুই বোন আর বাবা মাকে নিয়ে আট জনের সংসার চালাতে খায়েরকে কাজ করতে হয় ওয়েল্ডিং মেশিনের দোকানে। নিজের খেয়ে বিনা বেতনে খায়ের কাজ শিখে শুধু অর্থ উপার্জনের জন্য বেছে নেয় এই কঠিন পেশা। এভাবেই কাটতে থাকে বীর শিশু খায়েরের প্রতিটি দিন। এক সময় এটিএন বাংলায় ’আমরা করবো জয়’ টিম চিন্তা করে শিশু দিবসে একটি প্রামাণ্য চিত্র নির্মাণের। তখন পরিচালক নিপা সিদ্ধান্ত নেয় বীর শিশু আবুল খায়েরকে নিয়ে কাজ করার। হাজিগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চল টোরাগরা থেকে ’আমরা করবো জয়’ দলটি তাকে আবিষ্কার করে ওয়েল্ডিং মেশিনে কাজ করা অবস্থায়। সেখানে তাকে নিয়ে করা হয় ’আমরাও পারি’ প্রামাণ্য চিত্রের কাজ। তখন পরিচালক নিপা খায়েরকে তার ফোন নম্বর দিয়ে আসে যোগাযোগ করার জন্য। কয়েকদিন পর আবুল খায়ের তাকে ফোন করে এটিএন বাংলায় এসে যোগাযোগ করে। নিপা পরদিন তাকে নিয়ে ভর্তি করে দেয় ঢাকার ধানমন্ডি পাঁচ নম্বর রোডে অবস্থিত সুরভি এনজিও স্কুলে। খায়ের নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে আবার পড়াশোনা করবে। মানুষের মতো মানুষ হবে।
এই গল্পটা লজ্জার ঃ
ধানমন্ডির সুরভি স্কুলে খায়ের ভর্তি হবার সময় সব কিছুর দায় দায়িত্ব স্কুল কর্তৃপক্ষই নেন। কিন্তু একদিন যেতে না যেতেই তাহের হোসেন নামক একজন গালিগালাজ শুরু করে ‘শালা, তুমি সাংবাদিক নিয়া আসো’। তারপরেও খায়ের নিজের টাকায় খেয়ে দুদিন স্কুলে থাকে। এক পর্যায়ে অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকলে খায়ের নিপাকে জানায়-তার দুর্গতির কথা। তখন নিপা তাকে বাড়িতে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন। বলেন-তুমি আপাতত বাড়িতে গিয়ে থাকো দেখি আমরা তোমার জন্য কিছু করতে পারি কিনা। দুই মাস পরে নিপা খায়েরের কাছে ফোন করে বলে-তোমার জন্য আমাদের অফিসে পিয়ন পোষ্টে একটা চাকরি ঠিক করছি। তুমি চাইলে করতে পারো। অসুস্থ বাবা আর পুরো পরিবারের কষ্ট দেখে খায়ের সিদ্ধান্ত নেয় চাকরি করার। শুরু হয় একজন বীর শিশুর চাকরি জীবন। এখন তার প্রতিটি দিন কাটে চা বানানো, পরিবেশন এবং ফাইলপত্র এগিয়ে দিয়ে। ৩ হাজার টাকা বেতনের এই চাকরির অর্ধেকের বেশি টাকা খরচ হয়ে যায় ঢাকায় থাকা আর খাওয়ার পেছনে। এ থেকেই কিছুটা বাঁচিয়ে নিজের বাড়িতে বাবা মায়ের জন্য পাঠায় খায়ের। সংসারের অবস্থা এখনো খুবই খারাপ। বড় ভাই এক এক মৌসুমে এক এক কাজ করে। ছোট এক ভাই মিস্ত্রির কাজ করতো কিন্তু এখন সে বেকার। আর সবার ছোটটা পড়ে মাদ্রাসায়। বোনদের একজনের বিয়ে হয়ে গেছে আর একজন পড়ে ক্লাস টুতে। না সরকারিভাবে না ব্যক্তিগত উদ্যোগে সেই ট্্েরন দুর্ঘটনা থেকে বেচেঁ যাওয়ারাও তার খোঁজ নেয়নি একবারের জন্যও। সমাজের অযত্ন আর অবহেলায় এভাবেই হারিয়ে যেতে বসেছিলো একজন বীর। যে কিনা মাত্র নয় বছর বয়সেই নিজের জীবনের ঝুকি নিয়ে অন্যের প্রান বাঁচিয়েছে। চাঁদপুরের একজন ডিসি এক সময় খায়েরের জন্য কিছু একটা করতে চেয়েছিলো। খায়েরের পরিবারকে দিতে চেয়েছিল এক টুকরো জমি। এজন্যও খায়েরদেরকে প্রাপ্তির পরিবর্তে হারাতে হয়েছে অনেক। হাজিপুরের তহ্সিলদার তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে বিশ হাজার টাকা। জায়গা দিবো দিবো করে ঘুরিয়েছে অনেক দিন।
তাই এখন আর সরকারের কাছে কোন প্রত্যাশাও নেই তার। খায়েরের ধারণা সরকার কিছুই করবে না তার জন্য। তাই ওর সহজ স্বীকারোক্তি আমি কিছুই চাই না সরকারের কাছে।
স্বপ্নের গল্প
বীর শিশু আবুল খায়ের জানে না বীর শিশু কাকে বলে। এ জন্যই হয়তো ও স্বপ্ন দেখার ইচ্ছেটাও সেভাবে আর জাগ্রত হয় না। তারপরেও খায়ের নষ্টালজিয়ায় আক্রান্ত হয়ে যায়। মনে পড়ে যায় ফুটবল খেলা। সবুজ মাঠের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটোছুটির স্মুতি। আবুল খায়েরর স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে সে একজন শিক্ষক হবে। আদর্শবান শিক্ষক। কিন্তু পরক্ষণেই ওর মনে পড়ে যায়, শিক্ষক হতে হলে তো অনেক পড়ালেখা করতে হয়। এখন তো সে আর পড়ালেখা করে না। যে আবুল খায়েরের সাহস আর বুদ্ধিমত্তায় একটি যাত্রীবাহী ট্রেন মারাত্মক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়। বেঁচে যায় হাজারো মানুষের জীবন সেই খায়েরের জন্য কতটুকু করেছি আমরা? এদেশ কতটুকু দিয়েছে তাকে? কতটুকুই বা তার প্রাপ্য ছিলো? এসব হিসেব করতে গেলে বড় বেশি স্বার্থপর মনে হয় নিজেদের। খুব লজ্জায় পড়ে যেতে হয় নিজের কাছেই। আবার অজানা একটা আশংকায় ভীত হয় মন। কারণ যে দেশে গুণীয় সমাদর নেই সে দেশে গুণী জন্মাতে পারে না। আবুল খায়েরদের প্রাপ্য সম্মানটুকু আমরা দিতে না পারলে এদেশে যে কোন বীর জন্মাবে না তা নিশ্চিত। আমরা হয়তো একদিন বীরহীন জাতিতে পরিনত হবো।
আমরাও পারি’র এমি জয়
আবুল খায়ের যা পেলো।
শিশুদের জন্য নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র ‘আমরাও পারি’র বিশ্বখ্যাত এমি অ্যাওয়ার্ড জয়ের মূল নায়ক আবুল খায়েরকে এক লাখ টাকা করে পুরষ্কার দিয়েছে এটিএন বাংলা ও চ্যানেল আই। এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান তার হাতে এক লাখ টাকার চেক তুলে দেন। তিনি খায়েরের গ্রামের ভাঙা বাড়িটিও বিল্ডিং করে দেয়ার ঘোষনা দেন। এরপর চ্যানেল আই’র পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগরও তাকে এক লাখ টাকা পুরষ্কার দেয়ার ঘোষনা দেন। এটি এন বাংলার আমরা করবো জয় দলের কিশোর কিশোরী নির্মাতারা ‘আমরাও পারি’ নামে একটি প্রামান্য চিত্র। তখন কে জানতো এই আমরাও পারি’ই জয় করে আনবে টিভি পর্দার অস্কার এমি আওয়ার্ড। দেশের জন্য এতো বড় একটা গৌরব। পুরষ্কার পেয়ে আবুল খায়েরও খুব আনন্দিত। এখন সে একটু একটু বুঝতে পারছে ‘এমি আওয়ার্ড’ কি। পুরষ্কার পাওয়ার অনুভুতি প্রকাশ করতে গিয়ে খায়ের বলে-আমি অনেক খুশি হইছি। এটিএন বাংলার সবাই আমার জন্য অনেক কিছু করছে। নিপা আপা, চেয়ারম্যান স্যার সবাই। অফিসের অন্য সবাই ও আমার সাথে খুব ভালো ব্যবহার করে। ‘আমারে ভালো জানে’। কিন্তু ভাবনার বিষয় হলো, ‘এমি অ্যাওয়ার্ড জয়ের পর আবুল খায়েরকে এত কিছু দেয়ার ঘোষনা যেন’ আগের মতো না হয়। বাস্তবেও যেন আবুল খায়ের কিছু পায়। আবুল খায়েরদের মতো শিশুদের বাঁচিয়ে রাখা আমাদের জন্য দেশের জন্য ও অত্যন্ত জরুরি।
বিশেষ দ্রষ্ঠব্যঃ মৃত্যুর পূর্বে নিজ মুখে উপরোক্ত তথ্যগুলো বলে গেছেন আবুল খায়ের।