পাচার হওয়া সন্তান উদ্ধারের কথা বলে টাকা আত্মসাৎ। পরে আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে দুই বছর ধরে এক নারীকে নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে খুলনার পুলিশের সোর্স ও কথিত সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ানের বিরুদ্ধে। দুই বছর নির্যাতন সহ্যের পর থানায় মামলা করলেও অপরাধী পুলিশের সাথেই ঘুরছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
খুলনার সোনা ডাঙ্গা থানার সবুজবাগের-দেনারাবাদের মো. সোহাগ দেওয়ান। প্রভাবশালীদের সাথে ছবি দেখিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপির সাথে ছবি থাকায় স্থানীয় পুলিশও তাকে সমীহ করে চলে। কখনো পুলিশের সোর্স আবার কখনো সাংবাদিক পরিচয় দেন তিনি।
ভুক্তভোগী নারীর ১৪ মাসের সন্তান মৌসুম হোসেন নীল পাচার হয়। সন্তানকে পাওয়ার আশায় ঢাকার মানবপাচার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন তিনি। কিছু দিন পর হঠাৎ করে সন্তান উদ্ধারের কথা বলে যোগাযোগ করে কথিত সাংবাদিক ও সোর্স সোহাগ দেওয়ান। বিনিময়ে ৫ লাখ টাকার চুক্তি করেন স্ট্যাম্পে। ৩ লাখ ৭৭ হাজার টাকা দেয়ার পর ভুক্তভোগী ওই নারী বুঝতে পারেন সোহাগ প্রতারণা করছেন তার সাথে।
এর পরে সোহাগের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তা আর দেয়নি। টাকা পাওয়ার আশায় থানায় জিডি করলে সোহাগের চাপে তা তুলে নিতে বাধ্য হন তিনি। উল্টো কৌশলে ওই নারীর আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখায় অভিযুক্ত সোহাগ।
ধর্ষণের শিকার নারী বলেন, সোহাগ আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে ধর্ষণ করে আর ভিডিও করে মেহেদী হাসান। পরে মেহেদী ধর্ষণ করে আর তা ভিডিও করে সোহাগ। পরে ওখান থেকে থানায় গিয়েছিলাম কিন্তু কোন সহযোগিতা পায়নি। এই দু’জন দুই বছর ধরে ধর্ষণ করেছে আমাকে। অন্যদিকে থানায় মামলা করতে গেলে আগেই সেই খবর চলে যেত সোহাগের কাছে। এই মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ বলেন, পুলিশ যদি আসামিদের গ্রেপ্তার করে, তাহলে আমরা আশাকরি এই মামলায় দৃষ্টান্তমূলক একটি রায় দেখতে পাবো।